সংক্ষিপ্ত
সোমবার দেশের করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের রিপোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ ১৮৩। রবিবারও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৫০।
আবার কি নতুন করে দেশে কোভিড -১৯ এর প্রকোপ বাড়বে- এই প্রশ্নই নতুন করে তুলে দিল সোমবার দেশের করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের রিপোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ ১৮৩। রবিবারও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৫০। অর্থাৎ গত এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৮৯.৮ শতাংশ। আক্রান্তের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। দেশে মৃত্যু হয়েছে ২১৪ জন। রবিবার মৃত্যু হয়েছিল মাত্র ৪ জনের।
দৈনিক ইতিবাচকতার হার, জনসংখ্যার মধ্যে সংক্রমণের বিস্তারের একটি সূচক। এই হার গতকাল ০.৩১ শতাংশ ছিল। সেখানে থেকে এদিন নেমে এসেছে ০.৮৩ শতাংশ। তবে সংক্রমণের সংখ্যা ১১হাজার ৫৫৮ থেকে ১১ হাজার ৫৪২তে নেমে এসেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে সবথেকে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে রাজধানী দিল্লিতে। তিন মার্চ থেকে দেশে নতুন করে বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী এদিন দেশে ১ হাজার ১৫০ জন করোনাভাইরাল সংক্রমণের জন্য ইতিবাচক পরীক্ষা করিয়েছেন। দেশে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৪কোটি তিশির লক্ষের বেশি। দেশে এপর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত হয়েছে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষের। যদিও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিশ্বাস্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে ভারতে কোভিড আক্রান্ত হয়ে ৪০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলেই তারা অনুমান করেছে। মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমসে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট নিয়ে সরব হয়েছে রাহুল গান্ধী।
সম্প্রতি দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। স্বাভাবিক হচ্ছিল জনজীবন। খুলে দেওয়া হয়েছিল স্কুল কলেজ। কিন্তু তারপর নতুন করে কোভিড সংক্রমণ বাড়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখন আর কোভিড নিয়ে তেমন ভয় নেই। তবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সকলেই। মহারাষ্ট্র কোভিড বিধি তুলে নিয়েছে। অন্যদিকে বেশ কিছু রাজ্যে কোভিড বিধি শিথিল করা হয়েছে।
গগনদীপ কৌর জানিয়েছেন এই পরিস্থিতিতে অনেক রাজ্যে স্কুল খুলে গেছে। অনেক অভিভাবকই এই নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু তাদের আশ্বস্ত করেছেন তিনি। বলেছেন এখন আর করোনাভাইরাসকে নিয়ে তেমন ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তিনি আরও বলেছেন, 'আমি মনে করি আপনারা যদি কোভিড সংক্রমিত হতে চান তাহলে এটাই সঠিক সময়। আর আপনার শিশুর মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারেন। সংক্রমিত শিশুদের সংখ্যাগরিষ্ঠের মধ্যেই কোনও রকম উপসর্গ দেখা যায় না।' তিনি একটি হিসেবে দিয়ে পরিষ্কার করে দিয়েছেন সংক্রিমত শিশুদের ৮০ শতাংশ উপসর্গ বিহীন। এখন আর সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পাওয়ার দরকার নেই। তিনি আরও বলেছেন, ভাইরাসটি এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে এটি আর এখন সকলকেই বারবার সংক্রমিত করতে পারে।
তিনি চিন্তিত অভিভাবকদের আশ্বাস্ত করে বলেছেন, এখন আর অভিভাবকদের সংক্রমণের সংখ্যার দেখলে চলবে না। তিনি বলেছেন অভিভাবকদের দেখতে হবে স্কুলে বা কলেজে কতজন পড়ুয়া সংক্রমিত হয়েছে। তাদের থেকে আরও কতজন আক্রান্ত হয়েছে। কতজনকে হাসপতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যাগুলি খুবই কম।