সংক্ষিপ্ত

ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ওষুধটি পুরো শক্তি ব্যবহার করেছে। ফাইজারের অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগটি একটি মূল প্রোটিনের সংস্করণ। যা মানুষই পরীক্ষাগারে তৈরি করেছে।

কোভিড-১৯ (Covid-19) এর নতুন রূপ ওমিক্রনের (Omicron) দাপট ক্রমশই বাড়ছে গোটা বিশ্বে। ব্রিটেনে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লকডাউনের ঘেরাটোপে আবদ্ধ চিনেও নতুন করে ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই অবস্থায় আশ্বাসবাণী শোনাল ফাইজার। মঙ্গলবার ফাইজার  (Pfizer) বলেছেন তারা পরীক্ষামূলক কোভিড -১৯ এর ওষুধ অর্থাৎ বড়ি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। তাতে তারা মনে করছেন সংস্থার তৈরি পিল বা ট্যাবলেটটি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে ২হাজার ২৫০ জনকে ফাইজারের পিল দেওয়া হয়েছিল। যারা প্রত্যেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। মূলত প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের ওপরেই এই পিল ব্যবহার করা হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে ৮৯ শতাংশ মানুষেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। আর তাদের মৃত্যুর ঝুঁকিও কমে গেছে।

সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে পৃথক পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখা গেছে ওষুধটি ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও কার্যকর। ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ওষুধটি পুরো শক্তি ব্যবহার করেছে। ফাইজারের অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগটি একটি মূল প্রোটিনের সংস্করণ। যা মানুষই পরীক্ষাগারে তৈরি করেছে। এটি ওমিক্রনকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। 

ফাইজারের এই পরীক্ষার রিপোর্ট এমন সময় এসেছে যখন গোটা বিশ্বেই আক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে বাড়ছে। পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বাড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ কোভিড আক্রান্তে হয়ে মৃত্যু হয়েছে। ডেল্টার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সামনেই শীতের মরশুম সেই সময় আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এখন কতটা দ্রুত ফাইজার ও মার্কের করোনার ওষুধ বাজারে আনার অনুমতি দেয় তাই এখন দেখার। আশা করা হচ্ছে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই দুটি ওষুধ জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পাবে। যত দ্রুত এই ওষুধগুলিকে অনুমোদন দেওয়া হবে ততই করোনাবিশ্বে আশার আলো দেখা দেবে বলেও মনে করা বচ্ছে।  


ফাইজার  কম ঝুঁকিপূর্ণ প্রাপ্তবয়স্কদের ব্যবহারের জন্য নতুন এই পিল প্রস্তুত করেছে। এটি টিকার পাশাপাশি ব্যবহার করাযাবে। মঙ্গলবার এই বিষয়ে এটি যৌথ ডেটাও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। অন্তবর্তী ফলাফলে ফাইজার করেছে ওষুধটি কোভিড ১৯এ আক্রান্ত হওয়াদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি সংখ্যা কমাতে পারে। প্রায় ৭০ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে। ফাইজারের এই পরীক্ষার মধ্যে সেই মানুষরাও ছিল যাদের এখনও পর্যন্ত কোনও করোনাভারাসের টিকা দেওয়া হয়নি।  

Omicron Threat: দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্ত আরও ১, তবে করোনার তথ্য পরিসংখ্যানে স্বস্তি

করোনা মহামারির শেষ কোথায়, প্রশ্ন তুলল চিনে ডেল্টার নতুন বংশ AY-4-র বাড়তে থাকা সংক্রমণ