সংক্ষিপ্ত
NeoCov ভেরিয়েন্টটি SARS-CoV ভাইরাস (sarbecovirus) থেকে খুব আলাদা এবং merbecovirus এর অন্তর্গত যা একটি ভিন্ন গোত্রের। এটি মানুষের ACE2 সংক্রামিত করতে পারে না কিন্তু বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে এটি SARS-এর সাথে একত্রিত হয়ে মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে।
দিন কয়েক আগে প্রকাশিত রিপোর্টে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। জানা গিয়েছিল ফের প্রকাশ ঘটছে করোনার আরও এক ভেরিয়েন্টের (latest variant of coronavirus)। যা আগের ভেরিয়েন্টের তুলনায় অনেক দ্রুত ছড়াবে ও এতে মৃত্যুর হার অনেক বেশি হবে। এমনই সতর্কতা জারি করেছেন চিনের উহানের বিজ্ঞানীরা (Scientists at China Wuhan lab)। সেই উহান, যাকে করোনা ভাইরাসের আঁতুড় ঘর বলা হয়। এই ভেরিয়েন্টের নাম NeoCoV। বিজ্ঞানীরা সতর্কতা জারি করেছেন যে এটি এমন একটি মিউটেশন যা মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম MERS-CoV এর সাথে সম্পর্কিত এবং ২০১২ ও ২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্যে মহামারীর সঙ্গে যুক্ত।
তবে ভারতের কেন্দ্রীয় ও মহারাষ্ট্রের কোভিড ১৯ টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে যুক্ত গবেষক রাহুল পন্ডিতের বক্তব্য, করোনার এই নতুন ভেরিয়েন্ট NeoCov, কোনওভাবেই মানবশরীরে প্রভাব ফেলবে না। তাই অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। মুম্বইয়ের ফর্টিস হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটের ডিরেক্টর রাহুল পন্ডিত জানাচ্ছেন "আমরা একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি এবং বর্তমান কোভিড -১৯ মহামারী পরিচালনার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। আমি সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি, তাদের সতর্ক থাকুন৷ কোভিড-১৯ উপযুক্ত প্রোটোকল অনুসরণ করুন”।
কিন্তু, নতুন দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের ধীরেন গুপ্তা বলেছেন যে মানুষের মধ্যে এই রূপের সংক্রমণ এখনও একটি ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। "এই NeoCov ভেরিয়েন্টটি SARS-CoV ভাইরাস (sarbecovirus) থেকে খুব আলাদা এবং merbecovirus এর অন্তর্গত যা একটি ভিন্ন গোত্রের। এটি মানুষের ACE2 সংক্রামিত করতে পারে না কিন্তু বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে এটি SARS-এর সাথে একত্রিত হয়ে মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে।"
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়ের মধ্যে পাওয়া গেছে NeoCoV। জানা গিয়েছে প্রাণীদের মধ্যে একচেটিয়াভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভেরিয়েন্ট। বায়োআরক্সিভ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গবেষণায় সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। গবেষণায় আবিষ্কার করা হয়েছে যে NeoCoV এবং এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত PDF-2180-CoV, মানবদেহে প্রবেশের জন্য কিছু ধরণের ব্যাট অ্যাঞ্জিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম 2 (ACE2) এবং মানুষের ACE2 ব্যবহার করতে পারে।
Omicron Alert: 'ওমিক্রন করোনার শেষ রূপ', এই ধারনা বিপজ্জন বলল WHO
আরও পড়ুন- এবার থেকে খোলা বাজারে কোভিশিল্ড আর কোভ্যাক্সিন বিক্রি, জানালেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে নতুন করোনভাইরাসটি ACE2 রিসেপ্টরের সাথে COVID-19 প্যাথোজেন থেকে ভিন্নভাবে আবদ্ধ হতে পারে। ভাইরাসটির সংক্রমণের ফলে মৃত্যুর হার বাড়তে পারে। রাশিয়ান ওয়েবসাইট স্পুটনিকের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে MERS-এর মৃত্যুর হার প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন সংক্রামিত মানুষের মৃত্যু হতে পারে।