সংক্ষিপ্ত

ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার প্রায় দুই দিন পরে করোনার লক্ষণগুলি খুব দ্রুত প্রকাশ পেতে শুরু করে। গবেষকরা আরও দেখেছেন যে সংক্রমণ প্রথম গলায় ছড়ায়।

করোনা সংক্রমণের ব্যাপ্তি বাড়ছে। নয়া সমীক্ষা বলছে সংক্রমণ (COVID-19 infection) ছড়ানোর (Exposure to one nasal droplet) জন্য সংক্রমিতের নাকের এক ফোঁটা জলই (one nasal droplet) যথেষ্ট (sufficient)। ব্রিটেনের একটি ট্রায়াল চলাকালীন স্বেচ্ছাসেবকদের ইচ্ছাকৃতভাবে SARS-CoV-2 ভাইরাসের একটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল। দেখা যায়, ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার প্রায় দুই দিন পরে করোনার লক্ষণগুলি খুব দ্রুত প্রকাশ পেতে শুরু করে। গবেষকরা আরও দেখেছেন যে সংক্রমণ প্রথম গলায় ছড়ায়। সংক্রামক ভাইরাস সংক্রমণের প্রায় পাঁচ দিন পরে এবং সেই পর্যায়ে, গলার তুলনায় নাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি পরিমাণে থাকে।

তাই এই পরিস্থিতিতে যদি নাকের জল এক ফোঁটাও পড়ে, সেখান থেকে ছড়াতে পারে করোনা। এমনই দাবি গবেষকদের। দলটি আরও পরীক্ষা করে দেখেছে যে ল্যাটারাল ফ্লো টেস্ট (LFTs)-এর মাধ্যমে  এই নাকের জল কীভাবে অন্য লোকেদের সংক্রামিত করে। নেচারের প্রি-প্রিন্ট সার্ভারে প্রকাশিত হয়েছে এই রিপোর্ট। লন্ডনের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালের মাধ্যমে করা এই গবেষণায় দেখা যায় যে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে সংক্রমণ ফের হতে পারে। তবে এর ফলে সুস্থ তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কোনো গুরুতর লক্ষণ দেখা যায় না। অংশগ্রহণকারীরা সংক্রমণ ঘটানো ভাইরাসের সম্ভাব্য সর্বনিম্ন মাত্রার সংস্পর্শে এসেছে।

পরীক্ষায়, ১৮-৩০ বছর বয়সী ৩৬ জন সুস্থ পুরুষ ও মহিলা স্বেচ্ছাসেবক, যাদের কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হয়নি এবং SARS-CoV-2-এর কোনও পূর্বে সংক্রমণ ছিল না তাদের ভাইরাসের কম ডোজ দেওয়া হয়েছিল- নাক দিয়ে ড্রপ দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল। দুই সপ্তাহ ধরে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। অর্ধেক স্বেচ্ছাসেবক সংক্রামিত হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে ১৬ জনের হালকা থেকে মাঝারি সর্দির মত উপসর্গ দেখা দেয়, যার মধ্যে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, হাঁচি এবং গলা ব্যথা ছিল। তবে মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, ক্লান্তি এবং জ্বরের মত গুরুতর লক্ষণ দেখা যায়নি। তাদের ফুসফুসে কোনো পরিবর্তন বা কোনো অংশগ্রহণকারীর মধ্যে কোনো গুরুতর শারীরিক ঘটনা দেখা যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন বর্তমানে প্রত্যেকটা দেশেই টিকা অভিযান চলছে। পাশাপাশি গত দু বছর ধরে কোভিড মহামারির সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রাকৃতিক অন্যাক্রমত্যা তৈরি হয়েছে, যা মৃত্যুর হার অনেক কমিয়ে দিয়েছে। তাই এখনও ওমিক্রনকে হালকাভাবে না নেওয়ায় শ্রেয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, কোভিড মহামারি এখনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। 

আরও পড়ুন-New Omicron Strain : ভয় ধরাচ্ছে ওমিক্রনের নতুন রূপ, ফের কী বাড়বে সংক্রমণ, বাড়ছে উদ্বেগ

আরও পড়ুন-COVID-19 in India: ৩৪টি রাজ্যে কমছে কোভিড সংক্রমণ, আরও সুখবর দিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক

আরও পড়ুন-School Reopen: অবশেষে বাজল স্কুলের ঘণ্টা, করোনা ভয়কে সঙ্গে নিয়েই ক্লাসে পড়ুয়ারা