সংক্ষিপ্ত
- গরমেও থাকবে করোনার প্রকোপ
- ইউরোপিয় ইউনিয়নের রিপোর্ট
- আপাতত রক্ষা নেই আন্তর্জাতিক মহামারীর হাত থেকে
বসন্ত শেষ হতে গেল। দরজায় কড়া নাড়ছে গ্রীষ্ণ। অনেকই ভাবছেন তাপমাত্রা আরও বাড়লে চিন্তার কিছুই নেই। এমনিতেই অদৃশ্য হয়ে যাবে করোনার জীবানু। তাদের জন্য রীতিমত খারাপ খবর শোনাল ইউরোপিয় ইউনিয়নের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। সদ্যো প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে খুবতাড়াতাড়ি নিজের চরিত্রের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম করোনার জীবানু। তাই গরম পড়লেই যে করোনাভাইরাস নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তা একদমই ঠিক হয়। তাপমাত্রা বাড়লেও কিছুই হবে না করোনার। রীতিমত বেঁচেবর্তে থাকবে চরম ছোঁয়াছে এই জীবানু।
তাই সোস্যাল মিডিয়ায় যে ছড়িয়ে পড়া খবর হতে এখন থেকেই সাবধানে থাকুন। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল যে প্রবল গরমে করোনাভাইরাস তার অস্তিত্ব হারাবে। অনেকেই তাই গরম পড়ার জন্য হাপিত্তেশ করে বসে রয়েছেন। তাদের জন্য ইউরোপিয় ইউনিয়নের রিপোর্টটি রীতিমত হতাশাজনক। কারণ রিপোর্ট পরিষ্কার করে বলা রয়েছে গরমেও থেকে যাবে করোনার প্রকোপ। করোনার জীবানু যে মহামারীর আকার নিয়েছে তা গ্রীষ্ণকালে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আরও পড়ুনঃ ব্রাত্য বয়স্করা, আগে চিকিৎসা পাবে তরুণরাই, করোনা মোকিবিলায় সিদ্ধান্ত স্পেন সরকারের
আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় সাহায্যের আর্জি , জিংপিং-এর সঙ্গে টেলিফোনে কথা ট্রাম্পের
আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় লকডাউন, আার তাতেই পরিষ্কার ভারতের আকাশ-বাতাস
তবে ইউরোপিয় ইউনিয়নের রিপোর্টে সামান্য আশার আলোও দেখিয়েছে। বলা হয়েছে সার্স কোভি-২ নামে আরও একটি নতুন ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। যার আচরণও অনেকটা করোনাভাইরাসের মত। যা মানব জনগোষ্ঠীর মধ্যে মিলে গেলে গ্রীষ্ণকালে সনাক্ত করা যাবে না।
গত ডিসেম্বর থেকে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। বাতস থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে না। মূল হাত বা কোনও শক্ত মাধ্যম লাগে সংক্রমণ হতে। এতটা জানাগেলেও এখনও পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। একমাত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই এই ভাইরাস প্রতহত করা যায়। বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। আর ছোট্ট এই জীবনুর মোকাবিলায় গোটা বিশ্বে স্তব্ধ জনজীবন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারীর আকার নেওয়ায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার মানুষের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় লকডাউনের পথেই হেঁটেছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। এই অবস্থায় ভেঙে পড়েছে বিশ্বের অর্থনীতি। প্রবল ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে ধনী দ্ররিদ্র সব শ্রেণির মানুষই।