সংক্ষিপ্ত
- স্বেচ্ছাবন্দি না মানার অভিযোগ
- কাঠগড়ায় আইএএস অফিসার
- ফিরেছিলেন সিঙ্গাপুর থেকে
- উত্তর প্রদেশে নিজের বাড়ি চলে গেছেন
অনুপম মিশ্র। মধুচন্দ্রিমায় স্ত্রীর সঙ্গে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুর। গত ১৯ই মার্চ কাজে যোগ দেন। কেরলের কোল্লাম জেলায় সাব কালেক্টর হিসেবে তিনি কর্মরত। কিন্তু কোল্লাম জেলার কালেক্টর আব্দুল নাজের, সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার দরুন অমুপমকে কিছুদিনের জন্য নিজের বাড়িতেই স্বেচ্ছাবন্দি থাকার পরামর্শ দেন। সেই মত অফিসে আসা বন্ধ করে দেন অনুপম মিত্র। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই অনুপম মিশ্র।
সূত্রের খবর অনুপম মিশ্রর ভাই চিকিৎসক। তিনি বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। অনুপম তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নাকি বেঙ্গালুরু গিয়েছেন। কিন্তু সেখানেও অনুপমের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। একটি সূত্র বলছেন অনুপম নিজের বাড়ি কানপুরে চলে গেয়েছেন। কিন্তু হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে এভাবে ঘুরে বেড়ানো কতটা নিরাপদ তাই নিয়েই ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনুপম মিশ্র হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে কাউকে না জানিয়েই নিজের কর্মস্থল ছেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন কাউকে না জানিয়েই তিনি এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় লকডাউন, আার তাতেই পরিষ্কার ভারতের আকাশ-বাতাস
করোনাভাইরাসের আক্রান্ত সিঙ্গাপুর। ফেব্রুয়ারিতে বিয়ের পর সেখানেই মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন অনুপম। তারপর থেকে তিনি কেরল, কর্ণাটক ও উত্তর প্রদেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। যেখানে বিদেশ থেকে ফেরার পর দেশের সব নাগরিকদের কাছেই স্বেচ্ছাবন্দি থাকা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি। আর সেই নির্দেশই অমান্য করে ঘুরে বেড়ালেন এক আইএইএস অফিসার।
২০১৬ সালের ব্যাচ অনুপম মিশ্র। উত্তর প্রদেশের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রথম স্তরের আধিকারিক। সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পর তাঁর এই ভাবে ঘুরে বেড়ানো নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে অনুপম মিশ্রর সচেতনতা নিয়েই।
কোল্লামের কালেক্টর আব্দুল নাসের জানিয়েছেন পুরো বিষয়টি উর্ধতন কর্তপক্ষকে ইতিমধ্যেই জানান হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ নেমে সরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুন আরেক সরকার আধিকারিক জানিয়েছেন অনুপম মিশ্রের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ রয়েছে সরকারের ওপর। কারণ অনেক আগেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে তৎপরতা শুরু করে দিয়েছিল কেরল সরকার।
জানুয়ারি মাস থেকেই কেরলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়ছিল। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। বৃহস্পতিবার কেরল সরকারের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা ১২৬। এক লক্ষেরও বেশি মানুষকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সেখানে এক সরকারি আধিকারিকের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় মেনে নেবে না কেরল সরকার। তেমনই মনে করছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।