সংক্ষিপ্ত

  • ১৬ জুন জামাই ষষ্ঠী
  • বাঁশের তৈরি ডালা, কুলো ও তালপাতার হাতপাখা চাহিদা 
  • লকডাউনের মধ্যে বিক্রি হবে কীনা তা নিয়ে চিন্তা
  • দুশ্চিন্তায় রয়েছে বাঁশের সামগ্রী বানানো শিল্পীরা

বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ। তেরো পার্বণের মধ্যে জামাই ষষ্ঠী। ষষ্ঠতে জামাইদের শ্বশুর বাড়ি নানা ভাবে আদর আপ্যায়ন করা হয়। আগামী ১৬ জুন আপামর বাঙালী মেতে উঠবে জামাই ষষ্ঠীর রীতি পালনে। আর জামাই ষষ্ঠীর প্রধান উপকরনের মধ্যে অন্যতম হলো বাঁশের তৈরি ডালা, কুলো ও তালপাতার হাত পাখা। এই সব সামগ্রী তৈরি করতে বেজায় ব্যস্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের বোচাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈদল গ্রামের শিল্পীরা। 

বুধবার থেকে কলকাতায় চালু হচ্ছে বাস পরিষেবা, বাসকর্মীদের হাজিরার নির্দেশ

এই গ্রামে বেশিরভাগই পরিবার বৈশ্য সম্প্রদায়ের। তাদের জাতিগত ব্যবসা হলো বাঁশ দিয়ে ডালা, কুলো বানানো। হাতে সময় নেই বললেই চলে। তাই গ্রামের মহিলা ও পুরুষ সকলে মিলে ডালা আর কুলো বানাচ্ছেন। কিন্তু তাদের মনে দুশ্চিন্তা রয়েছে। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন চলছে রাজ্য জুড়ে। ফলে তাদের তৈরি ডালা, কুলোর বেচা কেনা অনেক কম। হাতে আর দুই এক দিন, তার পরেই বাঙালীর প্রিয় জামাইষষ্ঠী। অন্যান্য বছর এই সময় প্রচুর চাহিদা থাকে তাঁদের তৈরি ডালা-কুলোর। 

আরও পড়ুন - সুন্দর সকালের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে পুরুলিয়া, করোনা ছুঁতে পারেনি ৮০টি গ্রামকে

সেই কথা মাথায় রেখে বৈদল  গ্রামের মহিলা পুরষ শিল্পীরা সবাই মিলে ডালা, কুলো বানাতে ব্যস্ত। তাদের তৈরি ডালা,কুলো বিভিন্ন হাট বাজারে যেমন বিক্রি হয়, তেমন পাইকারেরা এসে তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যায় সেই সব দ্রব্য। জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষ্যে ডালা, কুলো বানালেও লকডাউনের কারণে কতটা বেচা কেনা হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে বৈশ্য পাড়ার শিল্পীদের।

আরও পড়ুন - লাগবে মাস্ক-স্যানিটাইজার, নতুন নিয়ম মেনে বুধবার থেকে খুলছে তারাপীঠ মন্দির