সংক্ষিপ্ত
- শেষ হতে বসেছে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের প্রকোপ
- গত ১৫ দিনে লাগাতার পাঁচ শতাংশের নিচে পজেটিভিটি রেট
- তাই করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের মেয়াদ শেষ হওয়ার জল্পনা
- তবে এই তথ্যে আমল দিতে রাজী নন বিশেষজ্ঞরা
সংক্রমণ যে কমছে, টের পাওয়া গিয়েছিল। তাহলে কি শেষ হতে বসেছে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের প্রকোপ ? ৯১ দিনে ৫০ হাজারের নিচে নামল করোনার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৬৪০ জন। পরিসংখ্যান আরও জানাচ্ছে গত ১৫ দিনে লাগাতার পাঁচ শতাংশের নিচেই রয়েছে আক্রান্ত হওয়ার হার। ফলে আশা বাড়ছে যে শেষ হতে চলেছে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের মেয়াদ।
তবে ধীরে চলো নীতিতে বিশ্বাসী বিশেষজ্ঞরা। পজেটিভিটি রেট যতই পাঁচ শতাংশের নিচে থাকুক, এখনই বিশেষ খুশি হতে চাইছেন না তাঁরা। তাঁরা বলছেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হতে সময় লাগবে আরও বেশ কিছুদিন। এখনই আশাবাদী হওয়ার কিছু হয়নি বলে মত তাঁদের। কারণ তৈরি হচ্ছে করোনা ভাইরাসের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট। যা আরও ভোগাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংক্রমণের দ্রুততা ভাবাচ্ছে করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের। দিল্লির শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর নাগা সুরেশ ভিরাপ্পু জানান ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে বেশ চিন্তায় তাঁরা। এই প্রজাতির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে। এদিকে এই মুহূর্তে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনার সংক্রমণ কম থাকায় শুরু হয়েছে আনলক প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের নেপথ্যে ছিল ডেল্টা প্রজাতি। অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল ওই সেটি। আক্রান্ত হয়েছিলেন বহু মানুষ। ৩ লক্ষর বেশি মানুষের মৃত্যুও হয়েছে। আর এবার রূপ পরিবর্তন করে ডেল্টা প্লাসে পরিণত হয়েছে করোনার ওই প্রজাতি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ডেল্টার থেকে ডেল্টা প্লাস অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। আর ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশে এই প্রজাতির খোঁজ মিলেছে।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে ১৪ দিনের বেশি যদি কোনও জায়গায় করোনা পজেটিভিটি রেট পাঁচ শতাংশের কম থাকে, তবে সেই এলাকাকে মোটামুটিভাবে বিপদমুক্ত বলা যায়। তাই পজেটিভিটি রেট আশা জাগালেও, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলি সেই আশায় জল ঢালছে বইকি।