সংক্ষিপ্ত
ওমিক্রন বা করোনার নতুন রূপের ভয়াবহতা এখনও সামনে আসেনি। প্রায় প্রতিটা ঘরেই ঢুকে পড়তে পারে করোনা।
তৃতীয় তরঙ্গে (3rd Wave) যে হারে সংক্রমণ (Trasmition) বাড়ছে, তা রীতিমত ভয়ের। এসএসকেএম হাসপাতাল (SSKM Hospital) থেকে সাংবাদিক সম্মেলন (Press Conferrence) করে জানালেন খোদ চিকিৎসকরা (Doctor's Meet)। শহরের নামকরা চিকিৎসকরা এদিন একত্রিত হয়ে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন। তাঁরা বলেন ওমিক্রন বা করোনার নতুন রূপের ভয়াবহতা এখনও সামনে আসেনি। তবে খুব দ্রুত গতিতে এটি ছড়াচ্ছে। ফলে প্রায় প্রতিটা ঘরেই ঢুকে পড়তে পারে করোনা।
এদিন চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে চলে এসেছে। এর চরিত্র বুঝতে আরও দু সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। তাঁরা সতর্ক করেন ওমিক্রনের ক্ষমতা কিছুটা কম দেখা যাবে মানব শরীরে। কারণ ইতিমধ্যে দুডোজের ভ্যাকসিন প্রায় সবার নেওয়া হয়েছে। তবে উৎসব বন্ধ না হলে, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ফল ভুগতে হবে বয়স্ক মানুষ ও চিকিৎসকদের।
চিকিৎসকরা এদিন জানান ব্রিটেনে যখন ২ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন দৈনিক মৃতের সংখ্যা ১৫০-র আশেপাশে ছিল। তাই চিকিৎসক মনে করেন ওমিক্রন খুব দুর্বল ভ্যারিয়েন্ট হলেও মৃত্যু হার বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। মোটামুটি ভাবে ২৭-২৮শে ডিসেম্বর নাগাদ এই তরঙ্গের সরাসরি প্রকোপ শুরু হয়। তার ১০-১২ দিনের মধ্যেই বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক সাড়ে তিন লক্ষের কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টাতেও সংক্রমণ ৬ হাজারের উপরেই থাকল। তবে রবিবারের তুলনায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা সামান্য কিছুটা কমেছে। কিন্তু, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা (Kolkata)। কারণ রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায়। শুধু কলকাতাতেই সংক্রমণ ৩ হাজারের কাছাকাছি রয়েছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অস্বাভাবিক হারে সংক্রমণ বাড়ছে হাওড়া (Howrah), হুগলি (Hooghly), উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
রবিবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ১৫৩। গত ২৪ ঘণ্টাতেও সংক্রমিতের সংখ্যা ৬ হাজারের উপরেই রয়েছে। তবে রবিবারের তুলনায় সংক্রমণ সামান্য কমেছে। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৭৮ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮০১ জন। এর ফলে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ২২৮। পজিটিভিটি রেট ১৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০ শতাংশ।