সংক্ষিপ্ত

  • টিকানীতি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সুপ্রিম কোর্ট
  • বয়সের ভিত্তিতে টিকার দাম নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা
  • কেন্দ্রের নিয়ম 'অযৌক্তিক এবং খামখেয়ালি' বলে সমালোচনা 
  • মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ জুন

দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে নাজেহাল দেশবাসী। প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় টিকাকরণ একমাত্র সমাধান বলে জানিয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে ৪৫ ঊর্ধ্ব দেশবাসীকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বসয়িদের টাকা দিয়ে নিতে হবে টিকা। আর কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতির সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে যেখানে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন সেখানে এই নীতিকে 'খামখেয়ালি ও অযৌক্তিক' বলে সমালোচনা করেছে শীর্ষ আদালত। 

আরও পড়ুন- ফের টিকা-নীতি নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা, ভ্যাকসিন কেনা বেচা নিয়ে ৩টি তথ্য চাইল সর্বোচ্চ আদালত

১৮ থেকে ৪৪ বছর বসয়িদের দাম দিয়ে টিকা নেওয়া প্রসঙ্গে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এল এন রাও ও বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চের মন্তব্য, "১৮-৪৪ বছর বয়সিদের দাম দিয়ে টিকা নেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র। ৪৫ ঊর্ধ্বদের টিকা দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল ১৮-৪৪ বছর বয়সিদেরও করোনায় আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। এমনকী, কিছু কিছু ক্ষেত্রে করোনায় অনেকেরই মৃত্যুও হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ১৮-৪৪ বছরের জন্য দাম দিয়ে কেন্দ্রের টিকাকরণের নীতি দৃশ্যতই অযৌক্তিক এবং খামখেয়ালি মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে।"

এছাড়া টিকার কেনাবেচা নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একাধিক বিষয় জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কবে টিকার বরাত দেওয়া হয়েছিল, কোন তারিখে কত পরিমাণ টিকার বরাত দেওয়া হয়েছিল। এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দু' সপ্তাহের মধ্যে শীর্ষ আদালতের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।  

এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ জুন। ওই দিন কেন্দ্রের থেকে টিকা নিয়ে সম্পূর্ণ নীতি চাওয়া হয়েছে। মূলত বয়স ভিত্তিতে টিকাকরণের বিষয়ে কেন্দ্র কী কী পদক্ষেপ করতে চলেছে তাও স্পষ্ট করতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।