সংক্ষিপ্ত
এখন অনেক রোগীই করোনার বিভিন্ন উপসর্গে ভুগছেন ঠিকই কিন্তু কোভিড টেস্ট করালেই আসছে নেগেটিভ। এমন বিড়ম্বনায় কী করণীয় তা ভেবে পান না অনেকেই।
বিশেষজ্ঞরা (Experts) বলছেন বর্তমানে প্রত্যেকটা দেশেই টিকা অভিযান (Corona Vaccination) চলছে। পাশাপাশি গত দু বছর ধরে (Last Two years) কোভিড মহামারির (Corona Pandemic) সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতা না ন্যাচারাল ইমিউনিটি (Natural Immunity) তৈরি হয়েছে, যা মৃত্যুর হার অনেক কমিয়ে দিয়েছে। তবে এখনই ওমিক্রনকে হালকাভাবে না নেওয়ায় শ্রেয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, কোভিড মহামারি এখনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
যদিও কিছুটা হলেও সুখবর শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে বর্তমানে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যে তথ্য আসছে, তা থেকে ইঙ্গিত মিলছে, করোনার বর্তমান রূপান্তরটি, আগের করোনা তরঙ্গগুলির তুলনায় নিরাপদ এবং কোভিড পজিটিভ রোগীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা বা মৃত্যুর সম্ভাবনার অনেকটাই কম। এর আগে করোনা রোগীদের অস্ত্রোপচার করা হচ্ছিল না। বর্তমান কোভিড-১৯ রূপান্তরটি 'সার্জারি সেফ' (Surgery Safe)। তাই, কোভিড রোগীদের যাদের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন, তাদের অস্ত্রোপচার করতে কোনও বাধা নেই।
যদিও জটিলতা অন্য জায়গায়। অবাক করা বিষয় হলো, এখন অনেক রোগীই করোনার বিভিন্ন উপসর্গে ভুগছেন ঠিকই কিন্তু কোভিড টেস্ট করালেই আসছে নেগেটিভ। এমন বিড়ম্বনায় কী করণীয় তা ভেবে পান না অনেকেই। গবেষকরা বলছেন বেশিরভাগ সময়ই নমুনা সংগ্রহের ভুলেই রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসতে পারে। কোভিড পরীক্ষায় ভুল ফলাফল আসতে পারে। কেউ কেউ আবার র্যাপিড পরীক্ষা করেন। এটিতে কোভিড ধরা না পড়লেও নিশ্চিত ভাবে রোগীকে কোভিডমুক্ত বলা যায় না। আবার ওমিক্রনের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ রূপ দেখা যাচ্ছে যেটিকে অভিহিত করা হয়েছে ‘স্টেলথ ওমিক্রন’ নামে। এর ক্ষেত্রেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কোভিডের উপসর্গ থাকলে অবশ্যই আইসোলেশনে থাকুন। গলাব্যথা, জ্বর কিংবা সর্দির মতো উপসর্গ থাকলে একদিন থেকে দুদিনের মধ্যে আরও একবার কোভিড পরীক্ষা করে নিন। যারা র্যাপিড পরীক্ষা করেছেন সঠিক ফলাফলের জন্য তাদের করতে হবে আরটি পিসিআর পরীক্ষা। তবে গিয়েই সঠিক রিপোর্ট মিলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- দেশ জুড়ে কমছে সংক্রমণ, সুপ্রিম কোর্টে চালু হচ্ছে সরাসরি শুনানি
আরও পড়ুন- সূচ দেখে করোনার টিকা নিতে ভয়, দেশের প্রথম সূচবিহীন টিকাকরণ শুরু বিহারে
দেশের বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ (COVID-19)-এর দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তিরা বেশি সংক্রামিত হয়েছিলেন। তবে, চলতি তরঙ্গের সময়, দেখা গিয়েছে, বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ৪৪ বছর বয়সীরা। তাদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে চলতি কোভিড তরঙ্গে, রোগীদের মধ্যে গলা ব্যথার মতো সাধারণ উপসর্গই বেশি দেখা গিয়েছে। চিকিত্সার জন্য ওষুধ বা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবহারও উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল।