সংক্ষিপ্ত
- দুর্দান্ত লড়েও শেষ রক্ষা হল না বাংলাদেশের
- অস্ট্রেলিয়ার ৩৮১ রান তাড়া করে টাইগাররা থামল ৩৩৩/৮ স্কোরে
- চলতি বিশ্বকাপে প্রথম শতরান করলেন মুশফিকুর রহিম
- এই জয়ের ফলে সেমিপাইনালে জায়গা প্রায় পাকা করে নিল অস্ট্রেলিয়া
বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপ ২০১৯-এর ২৬তম ম্যাচে লড়াকু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নির্মম আগ্রাসন দেখিয়ে ৪৮ রানে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের দিকে এক পা বাড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওার্নারের ১৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের দৌলতে ট্রেন্ট ব্রিজে প্রথমে ব্য়াচ করে ৩৮১/৫ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাবে বাংলাদেশ কিন্তু একেবারেই গুটিয়ে থাকল না, বা রানের চাপে ভেঙে পড়ল না। বরং পাল্টা লড়াই ছুঁড়ে দিল অজি শিবিরে। চলতি বিশ্বকাপে প্রথম শতরান করলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু দারুণ লড়েও ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশ থামল ৩৩৩/৮ স্কোরে।
এদিন চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ব্য়াক্তিগত রানের ইনিংসটি খেলে গেলেন ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম উইকেটেই ফিঞ্চ (৫৩)-কে সঙ্গে নিয়ে ২০ ওভারে ১২১ রান তুলে দিয়েছিলেন তিনি। প্রথম দিকে কিন্তু নিজের স্বাভাবিক আগ্রাসী খেলা নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন অজি ওপেনার। ১১০ বলে শতরান পূর্ণ করেন। কিন্তু তারপরই ইচ্ছে মতো হাতের সুখ করলেন। শেষ ৬৬ রান আসে ৩৭ বলে। মারলেন ১টি চার ও ৫টি ছয়।
তাঁরেকে য়োগ্য সঙ্গত করেন খোয়াজা (৮৯)-ও। ওয়ার্নার ফিরে যাওয়ার পর ঝড় তুলতে শুরু করেছিলেন ম্যাক্সওয়েল (১০ বলে ৩২)। তবে খোয়াজার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান। ৩৮ থেকে ৪৬ এই ৮ ওভারে এই তিন অজি ব্যাটসম্যান ১১৬ রান তুললেন। ম্যাক্সওয়েল আরেকটু থাকলে এদিন ৪০০ রানও উঠতে পারত।
বাংলাদেশী বোলারদের দিনটা খুব খারাপ গেল। একমাত্র মেহিদি হাসান ছাড়া বাকিরা সবাই ওভার প্রতি ৭ রানের বেশি দিলেন। আর অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকার বল হাতে তুলে নিলেন ওয়ার্নার, ফিঞ্চ ও খোয়াজার উইকেট।
সাধারণত এই বড় রানের চাপে প্রতিপক্ষ রান তাড়া করতে নেমে পথ হারিয়ে ফেলে। বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা দেখইয়ে দিলেন, কেন এই সময়টাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জাগরণের সময় বলা হচ্ছে।
শুরুটা কিন্তু বাংলাদেশের একেবারে ভাল হয়নি। ভুল বোঝাবুঝি ও অ্যারন ফিঞ্চের নিখুঁত থ্রো-তে অল্প রানেই আউট হয়ে যান সৌম্য সরকার (১০)। এরপর তামিম (৬২) ও সাকিব (৪১) নিজেদের মধ্যে একটা ৭৯ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু সুস্থ হয়ে দলে ফিরে এদিন তাঁকে থামান মার্কাস স্টইনিস। সাকিবের ব্য়াটের কানায় লেগে মিড অফে ফিঞ্চের হাতে সহজ ক্যাচ যায়।
বাংলাদেশের, ওয়েস্টইন্ডিজ-জয়ের আরেক নায়ক লিটন দাস (২০) এদিন ব্যর্থ হন। কিন্তু, এখথান থেকেই খেলাটা ধরে নিয়েছিলেন মুশফিকুর (১০২) ও মাহমুদুল্লা (৬৯)। দুজনে ১২৭ রানের জুটি গড়ে দারুণ লড়লেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার রানটা বড্ড বেশি হয়ে গিয়েছিল।