সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশী বোলারদের সুযোগই দিলেন না অজি ব্য়াটাররা। ওয়ার্নার করলেন ১৬৬। খোয়াজার ব্য়াট থেকে এল ৮৯। সবমিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া তুলল ৩৮১ রান।
বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপ ২০১৯-এর ২৬তম ম্যাচে একেবারেই জায়গায় বল রাখতে পারলেন না বাংলাদেশী বোলাররা। একেবারে শুরু থেকেই খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখলেন অজি ব্যাটসম্যানরা। রবিনহুডের স্মৃতি বিজড়িত নটিংহামে বাংলাদেশী বোলারদের প্রায় লুঠ করলেন ডেভিড ওয়ার্নার (১৬৬)। তাঁকে যোগ্য সঙ্গেত দিয়ে গেলেন উসমান খোয়াজা (৮৯)-ও। অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভার ব্যাট করে খাড়া করল ৩৮১ রানের বিশাল রান-পাহাড়।
প্রথম উইকেটেই ২০ ওভারে ১২১ রান তুলে দিয়েছিলেন ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ (৫৩)। নিয়মিত বোলাররা দাঁত ফোটাতে পারছেন না দেখে বাংলাদেশী অধিনায়ক মোর্তাজা বল তুলে দিয়েছিলেন সৌম্য সরকারের হাতে। আর প্রথম ওবারের পঞ্চম বলেই ফিঞ্চকে ফিরিয়ে দিয়ে ব্রেক থ্রু দেন তিনি।
এতদিন বিশ্বকাপে রান পাচ্ছিলেন না খোয়াজা। তারপরেও কেন স্মিথকে তিন নম্বরে না খেলিয়ে তাঁকে খেলিয়ে যাওয়া হচ্ছে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এদিন তার জবাব দিয়ে দিলেন উসমান খোয়াজা। ৭২ বলে ১০টি চার মেরে ৮৯ রান করলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া দুর্দান্তভাবে এদিন ইনিংসটাকে তৈরি করল। প্রথম দিকে কিন্তু বেশ দেখে শুনেই খেলছিলেন অজি ব্যাটসম্য়ানরা। ওয়ার্নার শতরান পূর্ণ করেন ১১০ বলে। আর তারপরই একেবারে ধ্বংসাত্মক মূর্তি ধারণ করেন তিনি। পরের ৬৬ রান করেছেন মাত্র ৩৭ বলে। সব মিিয়ে মেরেছেন ১৪টি চার ও ৫টি ছয়।
হাত খুলতে শুরু করেন খোয়াজাও। আর ওয়ার্নার ফিরে যাওয়ার পর ঝড় তুলতে শুরু করেছিলেন ম্যাক্সওয়েল (১০ বলে ৩২)। তবে খোয়াজার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান। ৩৮ থেকে ৪৬ এই ৮ ওভারে এই তিন অধঝি ব্য়াটসম্যান ১১৬ রান তুললেন। ম্যাক্সওয়েল আরেকটু থাকলে এদিন ৪০০ রান উটতই।
এই দিনটা বাংলাদেশী বোলাররা ভুলে যেতে চাইবেন। একমাত্র মেহিদি হাসান ছাড়া বাকিরা সবাই ওভার প্রতি ৭ রানের বেশি দিলেন। আর অনিয়মিত হবোলার সৌম্য সরকার বল হাতে তুলে নিলেন ওয়ার্নার, ফিঞ্চ, খোয়াজার উইকেট।