বর্তমানে ক্রিকেটে ফিল্ডিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় দল গত কয়েক বছর ধরে এই বিভাগে উন্নতচির জন্য খাটছে বিশ্বকাপের আগ দিয়ে এক নতুন ধরণের ফিল্ডিং অনুশীলন হল বিশদে জানালেন ফিল্ডিং কোচ 

যত দিন যাচ্ছে তত সময়ে সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্রুতগামী হচ্ছে ক্রিকেট। বিশেষ করে টি২০ ক্রিকেট আসার পর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে গতি আরোই বেড়েছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফিল্ডিং-এর গুরুত্ব। আর বিশ্বকাপের ঠিক আগে ভারতীয় দল অনুশীলনে একটি গোটা দিন ব্য়য় করল ফিল্ডিং-এর ঘষা-মাজায়। শুধু তাই নয় চিরাচরিত ফিল্ডিং অনুশীলনের নকশা থেকে সরে ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরকে দেখা গেল নতুন নতুন ড্রিলের আমদানী করতে। যা চুটিয়ে উপভোগ করলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।

একটা সময় ঝাঁপিয়ে পড়ে চার আটকানোর চেষ্টা করলেই সাধুবাদ জানানো হত। আর বর্তমানে টি২০ ক্রিকেটের যুগে শুধু ঝাঁপিয়ে বলটা আটকাতে না পারলে তাকে ক্ষমাহীন ভুল হিসেবে ধরা হয়। এখন তো বাউন্ডারির বাইরে উড়ে গিয়ে, উড়ন্ত অবস্থায় বল মাঠে ফেরত পাঠিয়ে, ছয় আটকানোও সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার ভারতেরই উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেখা গিয়েছে 'নো লুক রান আউট' বা উইকেটের দিকে পিছন ফিরেই আন্দাজে উইকেট ভেঙে দিয়ে রান আউট চালু করতে।

বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দল বল হাতে ধরে উইকেটে মারার সময়টুকুও ছেটে ফেলতে চাইছে। লক্ষ্য, যত বেশি সম্ভব সরাসরি বল উইকেটে মারা। আর সেটাই অভিনবভাবে অনুশীলন করা হল ভারতীয় শিবিরে।

রাউন্ড দ্য ক্লক

সবার প্রথমে হয় 'রাউন্ড দ্য ক্লক' অনুশীলন। ক্রিকেটারদের মাঠে ছয়টি বিশেষ ফিল্ডিং পজিশনে দাঁড় করানো হয়। তারপর প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ওই ছয়টি জায়গা থেকেই ২০টি করে বল বোলিং প্রান্তের উইকেটে সরাসরি ছুড়ে লাগাতে হয়েছে।

গুড আর্ম পাথ

এরপর ফিল্ডিং কোচ, ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফিল্ডিং বিষয়ক কিছু টেকনিকাল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বল ছোড়ার ক্ষেত্রে হাতের অবস্থানের গুরুত্ব এবং 'গুড আর্ম পাথ' অর্থাত কী ভাবে হাতটিকে এগিয়ে নিয়ে বলটি ছুড়লে নিশানায় থাকবে তা বোঝান শ্রীধর।

হিট দ্য স্টাম্পস

এরপর মিউজিকাল চেয়ার-এর অনুকরণে একটি গেম খেলা হয়। এই গেমে প্রত্যেককে স্টাম্পে বল ছুড়ে লাগাতে হয়েছে। পর পর সবাই ছুড়েছেন। যাঁরা প্রথম সুযোগেই নিশানায় আঘাত করতে পেরেছেন, তাঁদের বাদ দিয়ে বাকিদের আরও একবার বল মারার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এইভাবে খেলা এগিয়েছে। শেষ অবধি যিনি একটিও লাগাতে পারেননি তিনি 'বিজয়ী' হয়েছে।

Scroll to load tweet…

সেই হেরো বিজয়ীকে কী গুণাগার দিতে হয়েছে তা জানাননি শ্রীধর। তবে তিনি জানিয়েছেন এই গেমটি ভারতীয় ক্রিকেটাররা এতটাই পছন্দ করেছেন যে তাঁরা নাকি প্রত্য়েকে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেয়েছেন। এইভাবে হাসি ঠাট্টার মধ্য দিয়েই ফিল্ডিংয়ে সময়য়ের সামান্য ফারাকটাও মিটিয়ে নিতে চাইছে মেন ইন ব্লুজ।