সংক্ষিপ্ত

  • ইংল্যান্ডের পেসার জোফ্রে আর্চার
  • বিশ্বকাপের শুরুতেই সম্পর্কিত ভাইকে হারান তিনি
  • আর্চারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তাঁর ভাই
  • শোক সামলেই বিশ্বকাপে খেলেন আর্চার


বিশ্বকাপ ফাইনালের সুপার ওভারে বল করে এখন ইংল্যান্ডে নায়কের মর্যাদা পাচ্ছেন তিনি। গোটা বিশ্বকাপেই তাঁর আগুনে গতির সামনে রীতিমতো  কেঁপে গিয়েছেন বিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা। এ হেন জোফ্রে আর্চারের বাবা জানালেন, গোটা টুর্নামেন্টেই নিজের সম্পর্কিত ভাইকে হারানোর শোক বুকে চেপে রেখে কীভাবে জাতীয় দলের হয়ে পারফর্ম করে গিয়েছেন তরুণ এই ফাস্ট বোলার। 

আরও পড়ুন- নতুন কোচের আবেদনপত্র চাইছে বিসিসিআই! রবি কি এবার অস্তাচলে

জোফ্রে আর্চারের বাবা ফ্র্যাঙ্ক আর্চার জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হওয়ার পরের দিনই বার্বাডোজে আর্চারের এক ভাই অ্যাশান্টিও ব্যাকম্যানকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। চব্বিশ বছর বয়সি ওই যুবক সম্পর্কে ইংল্যান্ড পেসারের সম্পর্কিত ভাই। আর্চারের নিজের জন্মও বার্বাডোজে। পরে ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব নেন তিনি। নিজের ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ ইংল্যান্ডে পেসারের কাছেও পৌঁছেছিল। কিন্তু সেই শোক চেপে রেখেই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ কুড়িটি উইকেট নেন আর্চার। শুধু তাই নয়, স্নায়ুর চাপ ধরে রেখেই বিশ্বকাপ ফাইনালে সুপার ওভারে ইংল্যান্ডকে বহু কাঙ্খিত জয় এনে দিয়েছেন এই তরুণ পেসার। 

আরও পড়ুন- ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল, ফিরলেন '৮৬-এর মারাদোনা এবং তাঁর ঈশ্বর

তারকা পেসারের বাবা টাইমস পত্রিকাকে জানিয়েছেন, 'জোফ্রে এবং ওর ভাই সমবয়সি। ওরা খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল। মৃত্যু দু' একদিন আগেও জোফ্রেকে মেসেজ করেছিল ওর ভাই। ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদে ও খুবই ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু খেলা চালিয়ে যাওয়া ছাড়া ওর কোনও উপায় ছিল না। 

ছেলের প্রশংসা করে সিনিয়র আর্চার আরও বলেছেন, 'জোফ্রে কতখানি ব্রিটিশ, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছিল। কিন্তু ওর ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে খেলা সমাজের সবস্তরের প্রত্যেককেই ক্রিকেট খেলতে অনুপ্রাণিত করবে, কারণ ক্রিকেটটা মূলত অভিজাত শ্রেণির খেলা হিসেবেই দেখা হয়।'