সংক্ষিপ্ত
- নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জয় পেল পাকিস্তান
- বাবর আজম অপরাজিত শতরান করলেন
- তার আগে বল হাতে ৩ উিকেট নেন তরুণ পেসার শাহিন আফ্রিদি
- নিউজিল্যান্ড করেছিল ২৩৭
এবার সত্যি সত্যি মনে হচ্ছে ১৯৯২-এ ইমরান খানদের লেখা চিত্রনাট্য সত্যি সত্যি আরও একবার পুনরাভিনয় করে দেখাবেন সরফরাজ আহমেদরা। ৬ ম্য়াচ পর লক্ষ্য করা গিয়েছিল দুই দলের কাপ অভিযানে আশ্চর্য মিল। এবার ইমরানদের দলের মতোই সরফরাজরা সপ্তম ম্যাচে কিউইদের বিরুদ্ধে জয় পেলেন। জয় এল ৫বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে।
ভারত ম্যাচের আগে বাবর আজম জানিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিই তাঁর আদর্শ। এতদিন তিনি ভাল শুরু করেও লম্বা ইনিংস খেলতে পারছিলেন না। যার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পর শোয়েব আখতার বলেছিলেন বিরাচটের মতো ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার জায়গায় পৌঁছতে। এই ম্য়াচে ঠিক সেটাই করে দেখালেন বাবর। ১২৭ বলে ১১টি চারের সাহায্য়ে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন পাকিস্তানের 'কোহলি ইন মেকিং'। এদিন তিনি অনেকটা কোহলির মতোই সফলভাবে রান তাড়া করলেন। তিনি ছাড়া বড় রান পেলেন হ্যারিস সোহেল (৬৮)-ও। হাফিজ করেন ৩২।
তার আগে ১০ ওভারে ৩ টি মেডেন-সহ মাত্র ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে প্রায় একাই কিউই মিডল অর্ডারকে ধসিয়ে দেন তরুণ পাক পেসার শাহিন আফ্রিদি। রস টেলর (৩) ও টম ল্যাথাম (১) দুজনেই তাঁর শিকার। তার আগে কলিন মুনরো (১২)-র উইকেটও নেন তিনি।
নিজের প্রথম বলেই গাপ্টিল (৫)কে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন মহম্মদ আমির। তাঁর ও শাহিনের দাপটে ৯ ওভারে মাত্র ৩৬ তুলেই ৩ উইকেট হারিয়েছিল ব্ল্যাক ক্যাপসরা। এর আগের ম্য়াচগুলিতে কিউই ইনিংস গড়েছিলেন কেইন উইলিয়ামসন। এদিন ৪১ করেই আউট হলেন। সেই সময় নিউজিল্যান্ডের স্কোর ছিল ২৬.২ ওভারে ৮৩-৫।
এখান থেকে কিউইরা যে ২০০ পার করে তা সম্ভব হয়েছে জেমস নিশাম (৯৭) ও গ্র্যান্ডহোম (৬৪)-এর সপ্তম উইকেট জুটির জন্য। এই দুই অলরাউন্ডার ১৩২ রান যোগ করেন। কিন্তু, শুরুতে যে ক্ষতি হয়েছিল তা আর পূরণ করতে পারেননি।