সংক্ষিপ্ত

  • করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বাতিল হয়েছে সিরিজ
  • আপাতত লখনউ তে রয়েছে তারা
  • কলকাতা হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরতে চান তারা
  • কোন হোটেলে থাকবেন তা নিয়ে চলছে গন্ডগোল
     

করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে ভারত - দক্ষিণ আফ্রিকা একদিনের সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ। প্রথম ম্যাচটি বাতিল হয়েছিল বৃষ্টির জন্য। সেই ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল ধরমশালায়। কিন্তু এখনও দক্ষিণ আফ্রিকা দল ভারত ছাড়েনি। তাদের দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত যাওয়া নিয়ে এবার শুরু হয়েছে বিতর্ক। কোন পথে প্রোটিয়াসরা দেশে ফিরবে তা নিয়ে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট ম্যানেজমেন্টের।

এই মুহূর্তে লখনউয়ের একটি হোটেলে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। একটি নামকরা হোটেলে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে ডি ককদের। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী লখনউ থেকে দিল্লি হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাতে ফেরার কথা দলের। কিন্তু দিল্লি হয়ে ফিরতে নারাজ তারা। দক্ষিণ আফ্রিকা টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লির বদলে কলকাতা হয়ে দেশে ফিরতে চাইছে তারা। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের কোনও ঘটনা এখনও অবধি ঘটেনি। অন্যদিকে দিল্লিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭। তাই দিল্লির তুলনায় কলকাতা হয়ে ফেরাই বেশি সুরক্ষিত মনে করছেন দক্ষিণ আফ্রিকা।

এতঅবধি সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু গণ্ডগোল বাধে এর পরেই। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যানেজমেন্ট জানায়, ১৬ মার্চ অর্থাৎ সোমবার কলকাতায় আসতে চায় তারা। তারপর তাজবেঙ্গল হোটেলে রাত কাটিয়ে পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ৮.৫৫ মিনিটে এমিরেটসের বিমানে করে দেশে ফিরতে চান তারা। 

একথা শোনার পরেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানানো হয়, কলকাতা হয়ে ফিরলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু সেক্ষেত্রে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে রাজারহাটের আশেপাশে যে কোনও হোটেলে থাকতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। কিন্তু তাজবেঙ্গল হোটেল একদম শহরের মধ্যে। তাই ঝুঁকি নিতে চাইছে না নবান্ন। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যানেজমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের দলে এখনও পর্যন্ত কেউ অসুস্থ হননি। তাছাড়া তাঁদের মালপত্র ও গাড়ির ব্যবস্থা বিসিসিআইয়ের তরফেই করে দেওয়া হবে। তাঁরা শুধু রাতটা তাজবেঙ্গলে কাটাতে চান।

এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি ঠিকই, কিন্তু যে কোনও মুহূর্তে এই ভাইরাস হানা দিতে পারে। বাইরে থেকে আসা সবার উপরেই আলাদা করে নজর রাখছে প্রশাসন। তাই এক্ষেত্রে যদি দক্ষিণ আফ্রিকা দল এই পরামর্শ মেনে নেয়, তাহলে সরকারই সব ব্যবস্থা করে দেবে। শেষপর্যন্ত এই বিতর্ক কি আকার নেয় সেইদিকে নজর থাকবে।