সংক্ষিপ্ত

  • ম্যাচ গড়াপেটার কালো ছায়া ফের পাকিস্তান ক্রিকেটে
  • ২০০০ সালে ফিক্সিংয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগ স্বীকার সেলিম মালিকের
  • বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ছিলেন মালিক
  • ফের ক্রিকেট পেশায় ফেরার আবেদনও জানিয়েছে সেলিম মালিক
     

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। চলতি সপ্তাহে গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েও বোর্ডকে না জানানোর অপরাধে ৩ বছরের জন্য সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে পাকিস্তানি ক্রিকেটার উমর আকমলকে। যদিও পিসিবির দুর্নীতি দমন শাখার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানোর কথা জানিয়েছেন আকমল।  যা নিয়ে তোলপাড় ক্রিকেটমহল। এই আবহে আরও এক প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার স্বীকার করলেন গড়াপেটার অভিযোগ। তিনি প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক সেলিম মালিক। ২০০০ সালের গড়াপেটা কাণ্ড নিজের জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করেছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ'তুমি করোনা ভাইরাসের থেকেও খারাপ,তুমি একটা সাপ',রামনরেশ সারওয়ানকে আক্রমণ গেইলের

২০০দ সালে অস্ট্রেলিয়ার তিন জন ক্রিকেটারকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার ও গড়াপেটায় যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল সেলিম মালিকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কঠোরতম সাজা শোনান সেলিম মালিককে। তাকে আজীবন নির্বাসিত করে পিসিবি। ১৯ বছর পর ফের নিজের দোষ স্বীকার করেন সলিম মালিক বলেন,'১৯ বছর আগে যা করেছি, তার জন্য আমি খুবই দুঃখিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে আমি তৈরি।' এছাড়াও মালিক বলেছেন,'আট বছর বয়সে শুরু করেছিলাম ক্রিকেট খেলতে। এ ছাড়া আর কিছুই করিনি। সারা জীবন ধরে ক্রিকেট খেলে গিয়েছি। এটাই আমার রুটি-রুজি ছিল। আবেদন করছি, মানবাধিকার আইনে যাঁরা ম্যাচ-গড়াপেটায় যুক্ত, তাঁদের যেন বিচার হয়। আর আইসিসি ও পিসিবি-র যা নিয়ম, তার সঙ্গে সহযোগিতা করতে আমি প্রস্তুত'।

আরও পড়ুনঃদেশের হয়ে নিশ্চিত খেলবে অর্জুন, ভবিষ্যৎবাণী শ্রীসন্থের

আরও পড়ুনঃ'শেন ওয়ার্নকে নিয়ে খেলা করত সচিন তেন্ডুলকর' জানালেন ব্রেট লি

অন্যান্য ক্রিকেটাররা গড়াপেটায় যুক্ত থাকার পরও তাদের দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাকে সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে আক্ষেপও করেছেন ১৯৯২ সালে ইমরান খানের পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য।২০০৮ সালে পাকিস্তানের প্রধান কোচের পদের জন্য আবেদন করেছিলেন মালিক। ২০১২ সালে পাকিস্তান দলের ব্যাটিং কোচের পদের জন্যও আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু, তাঁর আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। এর কারণ জানতে চেয়ে মালিক বলেছেন, “মহম্মদ আমির, সলমন বাট, মহম্মদ আসিফ ও শর্জিল খানকে তো পরে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাকে অগ্রাহ্য করা হল। এমনকি, কোচ হিসেবেও কাজ করতে দেওয়া হল না।” মালিকের স্বীকারক্তি  আবেদন শুনে  পিসিবি-র আইনি পরামর্শদাতা তাফাজ্জুল রিজভি দুর্নীতি-দমন শাখার কাছে পূর্ণ সহযোগিতা করতে বলেছেন মালিককে। তিনি বলেছেন, “ক্রিকেটে ফিরতে হলে দুর্নীতি-দমন শাখার সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে তাঁকে। প্রথমত, ২০১১ সালের এপ্রিলে লন্ডনে হওয়া বৈঠক সম্পর্কে তাঁকে যে প্রশ্নগুলো করা হয়েছিল তার উত্তর দিতে হবে তাঁকে। সেই ব্যাখ্যা পাওয়ার পরই তাঁর ব্যাপারে ভাবা হবে।” কিন্তু একে করোনা ভাইরাস আতঙ্কের ফলে পাকিস্তান ক্রিকেটের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি। তারউপর ফের পাকিস্তান ক্রিকেটে ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, জোড়া ফলায় কপালে চিন্তার ভাঁজ দ্বিগুন হয়েছে পিসিবির।