সংক্ষিপ্ত

  • ২০১৪ ইংল্যান্ড সফর বিরাট কোহলির কাছে দুঃস্বপ্ন ছিল
  • ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বিরাটের ব্যাটে এসেছিল ১৩৪ রান
  • বিরাটের ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই
  • সেই ইংল্যান্ড সফরকেই তার কেরিয়ারের মাইলস্টোন বাছলেন বিরাট
     

ব্যাট হাতে প্রায় ১২ বছর ধরে একইভাবে দেশকে সাফল্য দিয়ে আসছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। একের পর এক রেকর্ড গড়ে নিজের নামের সঙ্গে 'বিরাট দ্য রান মেশিন' তকমা জুড়ে ফেলেছেন কোহলি। কিন্তু এহেন বিরাট কোহলির জীবনেও এসেছুল চরম খারাপ সময়। ক্রিকেটার হিসেবে তার যোগ্যতা নিয়ে উঠেগিয়েছিল প্রশ্ন। নিজের ও কেরিয়ারের উপর আত্মবিশ্বাসও হারাচ্ছিলেন ভারত অধিনায়ক। ভেঙে পড়েছিলেন কঠিন স্বভাবের বিরাটও। সেই সময় বিরাটের ক্রিকেট কেরিয়ারে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। বিসিসিআই টিভিতে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে আলাপচারিতায় সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন বিরাট কোহলি।

আরও পড়ুনঃসামনে এল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট

বিরাটের কেরিয়ারে দুঋস্বপ্নের মত ছিল ২০১৪ ইংল্যান্ড সফর। ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১৩.৪০ গড়ে সাকুল্যে ১৩৪ রান। সিরিজের দশটি ইনিংসে ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ১, ৮, ২৫, ০, ৩৮, ২৮, ০, ৭, ৬ ও ২০।  সুইংয়ের সামনে অসহায় দেখিয়েছিল তাঁকে। সেই সিরিজ টেস্টে তাঁর যোগ্যতাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছিল বলে মাায়াঙ্ক আগরওয়ালকে জানান স্বয়ং কোহালি। প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল কেরিয়ার নিয়েও। সেই বিষয়ে বিরাট কোহলি জানান,'সফর থেকে ফিরে এসে তিনি তেন্ডুলকরের শরণাপন্ন হই। সচিনের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনার পরেই বুঝতে পারেন ভুল ছিল কোথায়। মুম্বইয়ে সচিন পাজির সঙ্গে কয়েকটা সেশন করেছিলাম। জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে পা বাড়িয়ে খেলার গুরুত্বের কথা আমাকে বুঝিয়েছিলেন। যে মুহূর্তে আমি সেটা করতে থাকলাম, সঙ্গে সঙ্গে আত্মবিশ্বাস বাড়তে লাগল।' 

আরও পড়ুনঃকোপা দে ফ্রান্স জিতেও উদ্বেগ পিএসজি শিবিরে, চোটের জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগে অনিশ্চিত এমব‍্যাপে

আরও পড়ুনঃ৫৪ বছর বয়সে বক্সিং রিংয়ে কামব্যাক করছেন মাইক টাইসন, বিশ্ব জুড়ে চড়ছে পারদ

বিরাট জানান, 'সবাই নিজের ভালো সিরিজকে মাইলস্টোন হিসেবে বিবেচনা করেন। তবে তিনি ২০১৪-র খারাপ ইংল্যান্ড সফরটাকেই মাইলস্টোন করেছিলেন। সেই ব্যর্থতা থেকেই উপলব্ধি করেছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফল হতে গেলে কী করতে হবে। যদি ইংল্যান্ডের সেই সফর না ঘটত, তবে হয়তো একই ভাবে খেলে চলতাম। তাই ২০১৪ ইংল্যান্ড সফর আমার কেরিয়ারের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট।'তারপরে  ২০১৮ সালের ইংল্যান্ড সফরে কোহলি ৫ ম্যাচে ৫৯.৩০ গড়ে সংগ্রহ করেন সিরিজের সর্বোচ্চ ৫৯৩ রান। সঙ্গে দুটি সেঞ্চুরিও। ফলে পারফরমেন্স থেকেই প্রমাণিত সচিন তেন্ডুলকরের টিপস কতটা সাহায্য করেছিল বিরাটের কেরিয়ারে।