সংক্ষিপ্ত

  • দেশের প্রতি কর্তব্য কত কঠিন তা না জনলে বোঝা কঠিন
  • বিশ্বকাপের মধ্যেই প্রয়াত হয়েছিলেন অধিনায়ক আকবরের দিদি
  • বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আকবর
  • কিন্তু, বাড়ি না ফিরে এসে দেশের জন্য কর্তব্যকেই বড় মনে করেছিলেন তিনি

যেকোনো পর্যায়েরই হোক না কেন, বিশ্বকাপ ফাইনাল অর্থাৎ প্রয়োজন ইস্পাত কঠিন মানসিকতার। সেই জায়গা থেকে আকবর আলি যা করে দেখিয়েছেন, তা হার মানায় রূপকথার গল্পকে! প্রিয় বোনের মৃত্যু শোক ভুলে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে নক-আউট পর্যায়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ফাইনালে আকবরের ব্যাটেই বাংলাদেশ তাদের ক্রীড়া ইতিহাসে সবচেয়ে গর্বের মুহুর্তটি উপহার পেয়েছে।

২১ জানুয়ারি গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় স্কটল্যান্ড। ওই দিন স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে দেয় আকবরের দল। টানা দুই জয়ে  কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। কিন্তু পরদিন তার জীবনে ঘটে যায় মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা। মারা যান আকবরের বড় বোন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য বিষয়টি জানায়নি আকবরকে। বিষয়টি তার কাছে গোপন রাখতে চান আকবরের পরিবার। ২৪ তারিখ পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের। ওই ম্যাচ শেষেই বোনের মৃত্যুর খবর জানানো হয় আকবরকে।

যমজ সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেছেন আকবরের বড় বোন। এমন অপ্রত্যাশিতখবরে পুরো দলই দুঃখে ভেঙে পড়েছিল। সতীর্থদের ভেঙে পড়া দেখে তখন আকবর নিজেই নিজেকে শক্ত করেছেন। কারণ তিনি যে অধিনায়ক। বাংলাদেশ শিবিরে সকলের মন খুব খারাপ ছিল। আকবর দলকে বলেছিলেন, এগুলো নিয়ে না ভাবতে, বিশ্বকাপ জেতার দিকে মনোযোগ দেওয়া যায় মুহূর্তে বেশি দরকারি ছিল। 
 
ফাইনালে তার অসাধারন অধিনায়কত্বে ভারতকে ১৭৭ রানে আটকে দেয় পাকিস্তান। তারপর ডার্কওয়ার্থ লুইস মেথডে প্রাপ্ত টার্গেট ১৭০ তুলতেও ব্যাট হাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন আকবর আলি।