সংক্ষিপ্ত
বাংলা দলের (Bengal Cricket Team) কোচ হিসেবে এবার দায়িত্ব নিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmi Ratan Shukla)। ব্য়াটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ডব্লিউ ভি রমন (WV Raman)। বাংলার দুই কোচ মিলে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন তাদের লক্ষ্যের কথা।
নতুন মরসুমে বাংলা ক্রিকেট দলে কোচিং স্টাফে আমুল পরিবর্তন হয়েছে। দলের প্রধান কোচ হিয়েবে দায়িত্ব নিয়েছেন একদা বাংলার অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা। আর ব্য়াটিং কোচ হিসবে এসেছেন একদা লক্ষ্মীর গুরু ডব্লিউ ভি রমন। মরসুম শুরুর অনেক আগে থেকেই অনুশীলনে জোর দিয়েছে বাংলা। টি২০ ক্রিকেটের যুগেও ক্রিকেটে ব্যাকারণগত শিক্ষা ও ফিটনেসের পর জোর দিয়েছে বাংলাক দুই কোচ। আমরা বিগত কয়েক দিনে দেখেছি বাংলা দলের অনুশীলনে টায়ার নিয়ে কঠিন কসরত করিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। বাংলার কোচের সাফ কথা এসি ঘরে বসে নয়, ক্রিকেটার হতে গেলে রোদ্দুরে লড়াই করতে হবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক নিজেদের লক্ষ্যের কথা সাফ জানিয়ে দিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা ও ডব্লিউ ভি রমন।
বিগত কয়েক মরসুম ধরে রঞ্জি ট্রফি জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নামলেও কখনও ফাইনাল বা কখনও সেমি ফাইনালে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়েছে বাংলা দলকে। বোলিং বিভাগ ভালো পারফর্ম করলেও বাংলার ব্যাটিং লাইন ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারেনি। তাই মরসুমের অনেক আগে থেকেই অনুশীলন শুরু করে দিয়ে বেসিক জিনিসের উপর জোর দিয়েছেন বাংলার কোচেরা। লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটাই। কোনওভাবেই বেসিক ভোলা যাবে না। হতে পারে তুমি ১০০টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলে ফেলেছ। তাই বলে তুমি প্রাথমিক দিকগুলি উপেক্ষা করতে পার না। সেটা সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে। হতে পারে ভালো খেলছ এবং ২০০ রান করে ফেলেছ। তা সত্ত্বেও তোমাকে সেই প্রাথমিক ব্যকরণ মেনেই খেলতে হবে।’ জিমের বদলে মাঠে নেমে শারীরিক কসরতের বিষয়ে লক্ষ্মী বলেছেন,‘ক্রিকেটটা এসির ঠান্ডা ঘরে বসে খেলা হয় না। খেলতে হয় রোদে। তাই রোদে পুড়িয়েই শরীর শক্ত করতে হবে। ক্রিকেটাররা নিজেরাও এটাই চাইছে। কারও উপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না। আসলে অতীতে রামন, সচিন, সৌরভরা যখন খেলতেন, এসি লাগানো জিমে সময় কাটানোর চল ছিল না। দারা সিংও আখড়ায় গিয়ে শরীর শক্ত করেছেন, জিমে নয়।’
বাংলা দলের ব্যাটিং পরামর্শদাতা ডব্লিউভি রামন বলছেন, ‘আমি কখনোই অতীত ভেবে কাজ শুরু করি না। এটাই আমার ধরন। আমি দেখি আজ এবং আগামিকাল কী করতে হবে। কোভিড, লক ডাউনের জন্য ছেলেরা প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়নি। একটা মরসুমের দিক থেকেও ম্যাচ কম ছিল। রঞ্জি ট্রফি জেতার জন্য অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। গত পাঁচ-ছ দিন ইন্ডোরে ফলপ্রসূ অনুশীলন হয়েছে। আমার মনে হয়েছে, ওরা ভালো কিছুই করবে। লম্বা মরসুম। প্রচুর ম্যাচ খেলতে হবে। ফিটনেসের দিক থেকে সেরা জায়গায় থাকতে হবে।’ রঞ্জি জয় যে পাখির চোখ তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন বাংলার প্রধান কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা ও ব্যাটিং কোচ ডব্লিউ ভি রমন।