সংক্ষিপ্ত

  • সাসপেন্ড দিল্লির বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান
  • বাঁ হাত ব্যাটসম্যান মনজ্যোৎ কালরা
  • বয়স ভাঁড়ানোর গুরুতর অভিযোগ


২০১৮ সালে ভারতকে অনূর্ধ্ব- ১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। ফাইনালে শতরান করে নায়কও হয়েছিলেন। দিল্লির সেই প্রতিশ্রুতিমান বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান মনজ্যোৎ কালরার বিরুদ্ধেই বয়স ভাঁড়ানোর গুরুতর অভিযোগ। যার ফলে একবছর রঞ্জি ট্রফির কোনও ম্যাচে খেলতে পারবেন না তিনি। 

অনূর্ধ্ব -১৯  বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন মনজ্যোৎ। দিল্লির সিনিয়র দলে এবার সুযোগ পাওয়াও পাকা ছিল তাঁর। কিন্তু বুধবার দল নির্বাচনের ঠিক আগেই এই নির্দেশ জারি করেন ডিডিসিএ-র বিদায়ী ওমবাডসম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বদর দুররেজ আহমেদ। নিজের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার শেষ দিনে এই নির্দেশ জারি করেছেন আহমেদ। রঞ্জি ট্রফিতে মনজ্যোতের খেলার উপরে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বয়সভিত্তিক রঞ্জি দলে দু' বছর খেলতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দিয়েছেন ওমবাডসম্যান। যদিও শাস্তি দেওয়ার ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

প্রথমত কালরার মতোই একই অভিযোগ উঠেছিল দিল্লির ভাইস ক্যাপ্টেন নীতিশ রানার বিরুদ্ধে। যদিও তাঁকে যথাযথ নথি নিয়ে এসে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আর এক উঠতি পেসার শিভম মাভি-র বিষয়টি বিসিসিআই-কে পাঠানো হয়েছে। কারণ শিভম এখম উত্তর প্রদেশের হয়ে সিনিয়র দলে খেলেন।

মনজ্যোৎ কালরার বর্তমান বয়স ২০ বছর ৩৫২ দিন। গত সপ্তাহেও বাংলার বিরুদ্ধে দিল্লির অনূর্ধ্ব- ২৩ দলের হয়ে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন মনজ্যোৎ। দিল্লির এক ক্রিকেট কর্তার অভিযোগ, যেভাবে পদ ছাড়ার আগের রাতে সাড়ে এগারোটার সময় মনোজের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক নির্দেশের চিঠিতে সই করেছেন ওই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, তাতে শাস্তির ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। আবার বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ থাকলে কেন সিনিয়র রঞ্জি দলে খেলা যাবে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন দিল্লির কর্তারা। যেহেতু পুরনো ওমবাডসম্যান পদ ছেড়ে দিয়েছেন, তাই নতুন কেউ দায়িত্ব নিলে ফের তাঁকে এই অভিযোগের তদন্ত করতে হবে। 

কোনও রকম ক্লাব ম্যাচেও খেলতে পারবেন না মনজ্যোৎ। নিয়ম অনুযায়ী এবার তাঁর বাবা- মাকে নতুন ওমব্যাডসম্যান-এর কাছে নির্দেশ বাতিল করার জন্য চেষ্টা করতেই হবে। শিখর ধাওয়ান খেলতে না পারায় পঞ্জাবের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির পরবর্তী ম্যাচে মনজ্যোতের পনেরো জনের দলে সুযোগ পাওয়া নিশ্চিত ছিল।