CSK vs GT- ব্য়াটে-বলে দুরন্ত গুজরাট টাইটানস, চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাল ৭ উইকেটে

চেন্নাই সুপার কিংসকে সহজেই হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থান ধরে রাখল গুজরাট টাইটানস। হার্দিক পাণ্ডিয়ার দলের বিরুদ্ধে সেইভাবে কোনও লড়াই দিতে পারল না এমএস ধোনির দল। ৭ উইকেট ম্যাচ জিতল গুজরাট।ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিএসকে অধিনায়ক এমএস ধোনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে চেন্নাই। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করে রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এছাড়া ৩৯ রান করেন এন জগদীশান ও ২১ রান করেন মইন আলি।  রান তাড়া করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় গুজরাট টাইটানস। রান তাড়া করতে নেমে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা। এছাড়া ২০ রান করেন ম্য়াথু ওয়েড, ১৮ রান করেন শুবমান গিল ও ১৫ রান করন ডেভিড মিলার।

টস জিতে ব্য়াট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাই সুপার কিংসের। ৮ রানে প্রথম উইকেট পড়ে সিএসকের। ৫ রান করে মহম্মদ শামির বলে আউট হন ডেভন কনওয়ে। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও মইন আলি। বেশ কিছু অনবদ্য শট খেলেন দুজনে। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন রুতুরাজ ও মইন আলি জুটি। ৬৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে সিএসকের। ২১ রান করে সাই কিশোরের বলে আউট হন মইন আলি। এরপর রুতুরাজ গায়কোয়াড়  ও নারায়ণ জগদীশা মিলে এগিয়ে নিয়ে যায় দলকে। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন রুতুরুজ গায়কোয়াড়। দুজন মিলে ৪৮ রানের পার্টনারশিপ করেন। এরপর ১১৩ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে চেন্নাইয়ের। ৫৩ রান করে রাশিদ খানের বলে আউট হন রুতুরাজ গায়কোড়ার। ১১৪ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। খাতা না খুলেই আলজারি জোসেফের বলে আউট হন দুবে। এরপর এমএস ধোনি ও জগদীশান মিলে ১৬ রান যোগ করেন জুটিতে। তারপর দলের ১৩০ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৭ রান করে মহম্মদ শামির বলে আউট হন এমএস ধোনি। শেষ পর্যন্ত ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন এন জগদীশান। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে চেন্নাই সুপার কিংস। 

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করে গুজরাট টাইটানসের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুবমান গিল। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক শট খেলা শুরু করেন দুই তারকা। বিশেষ করে এদিন আলাদাই ছন্দে ছিলেন ঋদ্ধি। ওপেনিং জুটিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন। ৫৯ রানে প্রথম উইকেট পড়ে গুজরাটের। ১৮ রান করে মাথিসা পাথিরানার বলে আউট হন শুবমান গিল। এরপর দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান ঋদ্ধিমান সাহা ও ম্যাথু ওয়েড। দুজন মিলে ৩১ রানের পার্টনারশিপ কররেন। ৯০ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে গুজরাটের। ২০ রান করে  মইন আলির বলে আউট হন ম্যাথু ওয়েড। এদিন হার্দিক পান্ডিয়া ব্যাট হাতে সফল হননি। ১০০ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। ৭ রান করে মাথিসা পাথিরানার দ্বিতীয় শিকার হন হার্দিক। অপরদিকে, নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন ঋদ্ধিমান সাহা। দুজন মিলে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে দেন। শেষ পর্যন্ত ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন ঋদ্ধিমান সাহা, ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার।