সংক্ষিপ্ত
আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এর মেগা ম্য়াচে মুখোমুখি দিল্লি ক্যাপিটালসন ও লখনউ সুপার জায়ান্টস (DC vs LSG)। প্রথমে ব্য়াট করে ১৪৯ রান করে ঋষভ পন্থের দল। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে জয় পায় কেএল রাহুলের দল।
কুইন্টন ডিককের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৬ উইকেটে হারাল লখনউ সুপার জায়ান্টস। এই জয়ের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ হার দিয়ে আইপিএল ২০২২ অভিযান শুরু করলেও টানা তিন ম্য়াচ জিতে জয়ের হ্যাটট্রিক করল কেএল রাহুলের দল। অপরদিকে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর টানা দ্বিতীয় হার ঋষভ পন্থের দলের। ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালস। রাজধানীর দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন পৃথ্বি শ। এছাড়া অধিনায়ক ঋষভ পন্থ করেন ৩৯ রান ও শরফরাজ খান করেন ৩৬ রান। কেএল রাহুলের দলের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণোই ও একটি উইকেট নেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। রান তাড়া করতে নেমে ২ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮০ রানের ইনিংস খেলেন কুইন্টন ডিকক। এছাড়া ২৪ করেন কেএল রাহুল। দিল্লি হয়ে কুলদীপ ২ উইকেট নেন। টানা তৃতীয় জয় পেয়ে উচ্ছ্বসিত লখনউ।
এদিন দিল্লির হয়ে ব্যাট হাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে বিধ্বংসী মেজাজে শুরু করেছিলেন ওপেনার পৃথ্বি শ। অপরদিকে ডেভিড ওয়ার্নার ছিলেন কার্যত দর্শকের ভূমিকায়। একের পর এক বাইন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি মারেন পৃথ্বি। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরান করার পাশাপাশি নিজের অর্ধশতরানও দ্রুত গতিতে পূরণ করেন তিনি। অষ্টম ওভারে দলের ৬৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে দিল্লি ক্য়াপিটালসের। ৩৪ বলে ৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের বলে আউট হন পৃথ্বি। পার্টনারশিপ ভাঙতেই ৬৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ৪ রান করে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে আউট হন ওয়ার্নার। এরপর রভম্য়ান পাওয়েলও ৩ রান করে রবি বিষ্ণোইয়ের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ৭৪ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে দিল্লির। এই সময় দলের ইনিংসের রাশ ধরেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ এই ম্য়াচে সুযোগ পাওয়া শরফরাজ খান। উইকেট বাঁচিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। ১৫ ওভারের পর থেকে রানের গতিবেগ বাড়াবো শুরু করেন পন্থ ও শরফরাজ। একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলতে শুরু করেন দুজনেই। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টমারশিপও পূরণ করে ফেলেন শরফরাজ খান ও ঋষভ পন্থ জুটি। কিন্তু শেষে তিন ওভারে ফের আটোসাটো বোলিং করেন লখনউয়ের বোলাররা। শেষের দিকে পন্থ ও শরফরাজকে খুব একটা হাত খোলার সুযোগ দেননি আভেস খান, জেসন হোল্ডাররা। শেষ পর্যন্ত ১৪৯ রানেই থামতে হয় দিল্লি ক্যাপিটালসকে।
রান তাড়া করতে শুরুটা অনবদ্য করেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের দুই ওপেনার অধিনায় কেএল রাহুল ও কুইন্টন ডিকক। একদিক থেকে কেএল রাহুল ধরে রাখলও অপরদিক থেকে ডিকক নিজের স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক ক্রিকেট চালিয়ে যান। তবে উইকেট সহজে ছুড়ে দিয়ে আসেননি দুই ব্য়াটসম্য়ান। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন রাহুল-ডিকক জুটি। দশম ওভারে ৭৩ রানে প্রথম উইকেট পড়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের। ব্যাক্তিগত ২৪ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে আউট হন তিনি। ইভিন লুইজ এদিন ব্য়াট হাতে ব্যর্থ হন। ৫ রান ললিত যাদবের বলে আউট হন তিনি। ৮৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে লখনউয়ের। অপরদিকে নিজেরে ইনিংস চালিয়ে যান কুইন্টন ডিকক। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। অপরদিক থেকে তাকে সঙ্গ দেন দীপক হুডা। তবে নিদের আক্রমণাত্মক শট খেলতে থাকেন ডিকক। ৩৬ রানের পার্টনারশিপ করার পর আউট হন ডিকক। দলের ১২২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৮০ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে আউট হন প্রোটিয়া তারকা। এরপর দীপক হুডা ও ক্রুণাল পান্ডিয়া মিলে ২৩ রানের পার্টনারশিপ করেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫ রান। শার্দুল ঠাকুরের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ১১ রান করে আউট হন দীপক হুডা। শেষে একটি চার ও একটি ছয় মেরে খেলা শেষ করে দেন আয়ূশ বাদোনি। ১৯ রান করে অপরজিত থাকেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া ও ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন আয়ূশ বাদোনি। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল লখনউ সুপার জায়ান্টস।