সংক্ষিপ্ত
দিন কয়েক আগেই নিজেই বলেছিলেন কেউ সারা জীবন প্রশাসক থাকতে পারে না। কিন্তু সেসব এখন অতীত। কারণ বাংলার ক্রিকেট মাঠে জোর জল্পনা আবারও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বিদায় নেওয়ার পরেও ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে বিদায় নিচ্ছেন না বাংলার ক্রিকেটের মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়।
দিন কয়েক আগেই নিজেই বলেছিলেন কেউ সারা জীবন প্রশাসক থাকতে পারে না। কিন্তু সেসব এখন অতীত। কারণ বাংলার ক্রিকেট মাঠে জোর জল্পনা আবারও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বিদায় নেওয়ার পরেও ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে বিদায় নিচ্ছেন না বাংলার ক্রিকেটের মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এবার তিনি আবার ফিরে আসতে পারেন সিএবির প্রেসিডেন্ট পদে। শনিবার একটি অনুষ্ঠানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই জানান তিনি সিএবি-র প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আগামী ২২ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন দাখিল করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। সৌরভ এদিন বলেছেন, সিএবি-তে তিনি পাঁচ বছর ছিলেন। লোধা কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী আরও চার বছর থাকতে পারেন। বর্তমানে সিএবি-র প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া।
২০১৫ -২০১৯ সাল পর্যন্ত সিএবি-র প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে এখান থেকেই তাঁর যাত্রা শুরু। এখান থেকেই বিসিসিআইতে যান সৌরভ। তাঁর পরিকল্পনা ছিল আইসিসিতে যাওয়ার। কিন্তু সে যাত্রায় আপাতত ইতি টানতে হবে সৌরভকে। বর্তমানে সিএবি-র প্রধান অভিষেক ডালমিয়া।
যদিও সৌরভের সিএবি-তে প্রত্যাবর্তন খুব একটা সহজ নয়। তবে তাঁর সামনে যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা কাটিয়ে ওঠাই মূল লক্ষ্য। তাঁর সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ বিরোধী গোষ্ঠী। অর্থাৎ সিএবি-তে জিততে গেলে তাঁকে প্রথমেই অভিষেক ডালমিয়াকে সরাতে হবে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা এটা খুবই কঠিন বিষয়। সিএবি-র সচিব সৌরভের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। তাই এই পদে জিততে গেলে করও পদে কোপ পড়তে পারে। পাশাপাশি তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীও যথেষ্ট সক্রিয়।
বিসিসিআই এর মেয়াদ শেষ হয়েছে সৌরভের। কিন্তু তিনি আর সেখানে যাচ্ছেন না। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে আসছেন বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ী রজার বিনি। আর আগের পদেই থাকছেন জয় শাহ। সেখানে আরও একাধিক রদবদল হচ্ছে।