সংক্ষিপ্ত

  • করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন ইয়ান চ্যাপেল
  • সচিনোর একটি ইনিংসের উদাহরণ দেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক
  • রেডপ্যাথের খেলা ইনিংসটির প্রসঙ্গ তোলেন ইয়ান চ্যাপেল
  • উদ্যোগ, সংকল্প ও ধের্য্য থাকলেই করোনাকে হারানো সম্ভব
     

পৃথিবী জুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ঝড়ের গতিতে। দ্রুত গতিতে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। করুণ অবস্থা আমেরিকা, ইতালি, স্পেন,ব্রিটেনের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় গোটি পৃথিবী জুড়েই চলছে লকডাউন। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে এসেছেন বিশ্ব জুড়ে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল।  একইসঙ্গে করোনার সঙ্গে লড়াই করার জন্য উদাহরণ স্বরূপ ব্যবহার করলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকররে এক ইনিংস।

আরও পড়ুনঃধোনির অবসর প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য গৌতম গম্ভীরের, কী বললেন মাহির একদা সতীর্থ

করোনা মহামারীর সঙ্গে  টেস্ট ক্রিকেটের তুলনা করেন ইয়ান চ্যাপেল। টেস্টের মতো এখানেও ধৈর্যই অস্ত্র বলে জানান তিনি। একজন খেলোয়ারের কেরিয়ারে উন্নতির জন্য যেমন  ধৈর্য, সংকল্প ও  উদ্যোগের প্রয়োজন হয়। তেমনই পৃথিবী জুড়ে নিজের মারণ থাবা যেইভাবে বিস্তার করছে কোভিড ১৯, তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই গুনাবলীগুলি আবশ্যক বলে জানান চ্যাপেল। সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দুটি ইনিংসের উদাহরণও দিয়েছেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক।  ১৯৯৮ সালে চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সচিন তেন্ডুলকরের করা ১৫৫ রানে ইনিংসটির কথা বলেন। চ্যাপেল বলেন, ‘‘প্রথমটা হল ১৯৯৮ সালে চেন্নাইয়ে খেলা সচিন তেন্ডুলকরের মাস্টারপিস। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর অসামান্য ১৫৫ রানের দৌলতে ভারত ম্যাচ জেতে। কিন্তু এটা তেন্ডুলকরের উদ্যোগ ছাড়া সম্ভব হত না, ভারতও সিরিজে এগিয়ে যেতে পারত না। 

আরও পড়ুনঃনিজের ব্যাটিং গুরুর নাম জানালেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ, শুনলে চমকে উঠবেন

তেন্ডুলকর প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার রবি শাস্ত্রীর কাছ থেকে জেনে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন লেগস্পিনার শেন ওয়ার্ন রাফ অঞ্চলে বল করলে কী করতে হবে।'' তিনি আরও বলেন, রবি শাস্ত্রী জানিয়েছিলেন তিনি লম্বা বলে অনায়াসে বল পর্যন্ত পৌঁছে গিয়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে পারতেন। কিন্তু সেটা সচিনের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি সচিনকে পরামর্শ দিয়েছিলেন সেই পরিস্থিতিতে শেন ওয়ার্নকে আক্রমণ করা ছাড়া উপায় নেই লিটল মাস্টারের। চ্যাপেল জানান, সচিন সেই পরামর্শ মেনে ম্যাচের চতুর্থ দিন শেন ওয়ার্নকে আক্রমণ করেছিলেন। চ্যাপেল মনে করিয়ে দেন, প্রথম ইনিংসে শচীন সহজেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে যখন তিনি ব্যাট করতে নামেন তখন স্কোরবোর্ড দেখাচ্ছে দু'উইকেটে ৪৪। বল ঘুরতে শুরু করেছে। প্রথম ইনিংসে চার উইকেট পাওয়া শেন তখন আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে।  চ্যাপেল মনে করিয়ে দিচ্ছেন, দুই দলের দুই চ্যাম্পিয়নের লড়াই কেমন জমিয়ে দিয়েছিল ম্যাচটি। সচিনের সংকল্প ও উদ্যোগ তাঁকে ফল দিয়েছিল। বোলারের ফুটমার্কে বল পিচ করলেও আক্রমণ করেন সচিন। পরপর বাউন্ডারি হতে থাকায় শেষ পর্যন্ত শেন ওয়ার্নকে ওভার দ্য উইকেট বল করাতেই ফিরতে হয়। এভাবেই সেই লড়াইয়ে জেতেন সচিন। ম্যাচ জেতে ভারত। সচিনের ইনিংসটি ছাড়াও ১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে রেডপ্যাথের খেলা ইনিংসটির প্রসঙ্গ তোলেন ইয়ান চ্যাপেল। বলেন, শচীনের উদ্যোগ ও সংকল্পের সঙ্গে রেডপ্যাথের ধৈর্যকে মেলাতে পারলেই অতিমারির সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব হবে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ক্রীড়াবিদরা নানাভাবে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছে। সেখানে ইয়ান চ্যাপেলের এই পন্থা মানুষের মনে ধরবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুনঃলকডাউনে তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধের মেজাজে রবীন্দ্র জাদেজা, ভাইরাল ভিডিও