সংক্ষিপ্ত

ভারত ও নিউজিল্যান্ডের (India vs New Zealand ) প্রথম টি২০ (T20)ম্য়াচ। জয়পুরে মুখোমুখি  হয়েছিল রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও টিম সাউদির (Tim Southee)  দল। প্রথমে ব্য়াট করে ১৬৪ রান করল নিউজিল্যান্ড। অর্ধশতরান করলেন মার্টিন গাপটিল (Martin Guptill) ও মার্ক চাপম্যান (Mark Chapman)। জবাবে ভারতের হয়ে অর্ধশতরান করেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। ৪৮ রান করেন রোহিত শর্মা। ২ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে জয় পায় ভারতীয় দল।

ভারতীয় টি২০ ক্রিকেট দলের (Indian Cricket team) অধিনায়কত্বের শুরুটা জয় দিয়েই করলেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। কোচ হিসেবেও হাসি মুখেই শুরু করলেন রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। টি২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) ব্যর্থতা ভুলে জয়ে ফিরল টিম  ইন্ডিয়া (Team India) । নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) বিরুদ্ধে ৩ ম্য়াচের টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস জয় পেল ভারতীয় ক্রিকেট দল। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৬৪ রান করে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে জোড়া অর্ধশতরান  করেন মার্টিন গাপটিল (Martin Guptill) ও মার্ক চাপম্যান (Mark Chapman)। গাপটিল করেন ৭০ রান। চাপম্যান করেন ৬৩ রান।  ভারতের হয়ে অনবদ্য বোলিং করেন  ভুবনেশ্বর  কুমার ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দুজনেই  ২টি করে উইকেট নেন তারা। রান তাড়া করতে নেমে ভারতের হয়ে একমাত্র অর্ধশতরান করার পাশাপাশি ৬২ রানের ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। পাশাপাশি ৪৮ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন রোহিত শর্মা। শেষের দিকে ম্য়াচ হাড্ডাহাড্ডি পরিস্থিতিতে গেলেও ২ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে জয় পায় রোহিত ব্রিগেড।

এদিন টস জিতে ফিল্ডিং ওপেন করতে নামেন মার্টিন গাপটিল ও  ডায়ার্ল মিচেল। টি২০ বিশ্বকাপে দুরন্ত ফর্মে  ছিলেন মিচেল। কিন্তু এদিন খাতা না খুলেই ভুবনেশ্বরের কুমারের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান  তিনি। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন গাপটিল ও চাপম্য়ান। প্রথম দিকে খুব ধীরগতিতেই  স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান  দুই  ব্যাটসম্যান। পাওয়ার প্লে-তে ৬-এর নীচে ছিল রানের গড়। তারপর ধীরে ধীরে রানের গতিবেগ বাড়ান  গাপটিল ও চাপম্য়ান। প্রথমে নিজেদের  অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণকরেন  তারা। ১০ ওভারের পর থেকে রানের গতিবেগ বাড়ান দুজনেই। তারপর বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন  গাপটিল। চাপম্যানো প্রয়োজন মত আক্রমণে যান। প্রথমে ৪৫ বলে নিজের অর্ধশতরান  করেন মার্ক চাপম্যান। শতরানের পার্টনারশিপও পূরণ  করেন তারা। অপরদিকে মাত্র ৩১ বলে খেলে হাফ  সেঞ্চুরি পূরণ করেন গাপটিল। ১১০ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে নিউজিল্যান্ডের। ৫০ বলে ৬৩ রান করে অশ্বিনের বলে বোল্ড হন মার্ক চাপম্যান। 

পার্টনারশিপ ভাঙার পরই তৃতীয় উইকেট  পড়ে কিউইদের। খাতা না খুলেই অশ্বিনের বলে আউট হন গ্লেন ফিলিপস। ১১০ রানেই তৃতীয় উইকেট পড়ে নিউজিল্যান্ডের। এরপর  একদিক থেকে বিধ্বংসী ব্যাটিং চালিয়ে যান মার্টিন গাপটিল। বেশ কিছু বড় ছয় মারেন  তিনি। গাপটিল ও সেইফার্ট ৪০ রানের পার্টনারশিপপ করেন। দলের ১৫০  রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট পড়ে নিউজিল্যান্ডের। ৪২ বলে ৭০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দীপক চাহারের বলে আউট হন  গাপটিল। ১৫৩ রানে পঞ্চম  উইকেট পড়ে কিউইদের। ১২  রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন টিম সেইফার্ট। শেষ ওভারে মহম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হন রাচিন রবীন্দ্রা। ৭ রান করেন  তিনি। শেষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৪ রান করে নিউজিল্যান্ড।  

১৬৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দুরন্ত শুরু করেন ভারতীয় দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল। প্রথম ওভার দেখে খেলার পর দ্বিতীয় ওভার থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন ভারত অধিনায়ক। একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলেন হিটম্যান।  ৫ ওভারের মধ্যেই ৫০ রানের পার্টনারশিপ করে ফেলেন দুজনে। যদিও  তার মধ্যে বেশিরভাগটাই করেন রোহিত শর্মা। এদিন বেশি রান করতে পারেননি  কেএল রাহুল। ষষ্ঠ ওভারে প্রথম বলে প্রথম উইকেট পড়ে ভারতের। মিচেল স্যান্টনারের বলে ১৫ রান করে আউট হন রাহুল। এরপর দলের ইনিংসের রাশ ধরেন রোহিত শর্মা  ও সূর্যকুমার যাদব। রানের গতি একটু কমলে খারাপ বল পেলেই প্রহার করেন দুই তারকা। রোহিত-সূর্য জুটিও নিজেদের অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন। ৫৯ রানের পার্টনারশিপ করার পর দলের ১০৯ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ভারতের। ৪৮ রান  করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন রোহিত শর্মা।

এরপর সূর্যকুমার যাদব ও ঋষভ পন্থ স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান। নিজের  অর্ধশতরানও পূরণ করেন সূর্যকুমার। ১৪৪ রানে  তৃতীয় উইকেট পড়ে ভারতের।  ৬২ রানের ইনিংস খেলে ট্রেন্ট বোল্টের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। সূর্যকুমার আউট হওয়ার পরই রানের গতিবেগ কমে।  ম্য়াচ ধীরে ধীরে হাড্ডাহা্ডি পরিস্থিতিতে যায়। ব্য়াট হাতেনিরাশ করেন শ্রেয়স আইয়র। ৫ রান করে করে সাউদির বলে আউট হন তিনি। এক সময় বাকি ছিল ২১ বলে ২১ রান। সেই ম্য়াচ গিয়ে শেষ ওভারে ভারতীয় দলের দরকার ছিল ১০ রান। আইয়র আউট হওয়ার পর এই ম্য়াচে অভিষেক হওয়া  ভেঙ্কটেশ আইয়র ক্রিজে আসেন।  তিনি একটি  চার মেরে মিচেলের বলে আউট হন। শেষ ওভরে দুটি ওয়াইডও দেন মিচেল। ৩ বলে যখন  তিন রান  বাকি তখন  ৪ মেরে ম্য়াচ শেষ করেন ঋষভ পন্থ। ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন  তিনি। এই জয়ের ফলে ৩ ম্য়াচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল রোহিত শর্মার দল।  


YouTube video player