সংক্ষিপ্ত
ভারত বনাম ইংল্য়ান্ডের (India vs England ) একদিনের সিরিজে (ODI Series) বর্তমান ফলাফল ১-১। ওভারে ভারতেপ জয়ের পর লর্ডসে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। তৃতীয় একদিনের ম্যাচের আগে ৩ ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিল ইসিবি (ECB)।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্য়াচে ১০ উইকেটে জয় দুরন্তভাবে শুরু করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু দ্বিতীয ম্য়াচেই ১০০ রানের লজ্জার হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। যার ফলে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে জস বাটলাররে দল। সমতায় ফিরেই লর্ডস ম্যাচে ৬ উইকেট নেওয়া রিসি টপলে সিরিজ জয়ের হুঙ্কার দিয়ে রেখেছেন। দ্বিতীয় ম্য়াচে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুড়ে দাঁড়াতে প্রস্তুত রোহিত শর্মার দলও। ফলে ববিবার ম্যাঞ্চেস্টার ওল্ড ট্রাফর্ডে সিরিজের শেষ ও ফাইনাল ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু তার আগে ইংল্যান্ড দল ছেড়ে দিল তাদের তিন জন ক্রিকেটারকে। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে তাতে কী মেগা সানডের ডু অর ডাই ম্যাচে কিছুটা সুবিধা হবে টিম ইন্ডিয়ার।
আসলে শনিবার ইংল্য়ান্ডের ঘরোয়া টি২০ প্রতিযোগিতা ভাইটালিটি টি২০ ব্লাস্টের সেমি ফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ রয়েছে। টি-২০ ব্লাস্টের সেমিফাইনালে উঠেছে ইয়র্কশায়ার, ল্যাঙ্কাশায়ার, হ্যাম্পশায়ার ও সামারসেট। জাতীয় দলে থাকা জোস বাটলার ও লিয়াম লিভিংস্টোন উভয়েই ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে মাঠে নামেন। ক্রেগ ওভার্টন খেলেন সামারসেটের হয়ে। জনি বেয়ারস্টো, জো রুট ও ডেভিড উইলি মাঠে নামেন ইয়র্কশায়ারের জার্সিতে। সুতরাং এই ৬ তারকা মিস করবেন সেমিফাইনাল-ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। দলের প্রধান প্লেয়ার মিস করলেও ৩ জন প্লেয়ারকে ভাইটালিটি টি২০ বলাস্টের সেমি ফাইনাল ও ফাইনালের জন্য ছাড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। ভারতের বিরুদ্ধে চলতি ওয়ান ডে সিরিজের মাঝপথেই হ্যারি ব্রুক, ফিল সল্ট ও ম্যাট পারকিনসনকে তাঁদের কাউন্টি দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ব্রুক, সল্ট ও পারকিনসন যেহেতু প্রথম ২ ম্যাচের প্লেয়িং ইলেভেনে ছিলেন না এবং তাঁদের মাঠে নামার সম্ভাবনা কম। সেই কারণেই তাদের ছাড়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃশুধু এমএস ধোনি নয়, আরও ভারতীয় ক্রিকেটার রয়েছে যারা আইসিসির তিনটি ট্রফি জিতেছে
আরও পড়ুনঃবাবার নতুন প্রেমিকা বিশ্ব সুন্দরীকেও দেবেন মাত, চিনে নিন ললিত মোদীর সুপার সেক্সি মেয়েকে
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ব্যাট করতে নেম প্রথম ম্যাচের তুলনায় শুরুটা ভালো করলেও মাঝে দিকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল জস বাটলারের দল। সেখান থেকে মইন আলির ৪৭, ডেভিড উইলির ৪১, লিয়াম লিভিংস্টোনের ৩৩ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ২৪৬ রানের লড়াই করার মত স্কোরে পৌছায় ইংল্যান্ড। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহল। তবে ভারতীয় দলের ব্যাটসম্যানরা টি২০ সিরিজ ও প্রথম ওডিআইতে যে ফর্মে ছিল তাতে অনেকেই মনে করেছিলেন এই রান সহজেই করে ফেলবে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যাবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। রোহিত শর্মা ০, শিখর ধওয়ান ৯, বিরাট কোহলি ১৬ , ঋষভ পন্থ ০ রানে আউট হন। এরপর সূর্যকুমার যাদব ২৭, হার্দিক পান্ডিয়া ২৯, রবীন্দ্র জাদেজা ২৯ ও মহম্মদ শামি ২৩ রান করে কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ১৪৬ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে একাই ৬টি উইকেট নেন রিসি টপলে। রবিরা ওল্ড ট্রাফোর্ডে হবে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচ।