সংক্ষিপ্ত
ভারত বনাম ইংল্য়ান্ডের (India vs England) এজবাস্টন টেস্টের (Edgbaston test) তৃতীয় দিনের খেলা। জনি বেয়ারস্টোর (Jonny Bairstow) দুরন্ত সেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসে ২৮৪ রানে অলআউট ইংল্যান্ড। ১৩২ রানের লিড নেয় টিম ইন্ডিয়া (Team India)। তৃতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ১২৫ রানে ৩ উইকেট।
এজবাস্টনের ভারত বনাম ইংল্য়ান্ডর পঞ্চম টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে অ্যাডভান্টেজ টিম ইন্ডিয়া। সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে পাওয়া ১৩২ রানের মহামূল্যান লিড। তবে তৃতীয় দিনে জনি বেয়ারস্টোর অনবদ্য সেঞ্চুরি, মহম্মদ সিরাজ, মহম্মজ শামিদের দুরন্ত বোলিং সবকিছুই দেখল ক্রিকেট প্রেমিরা। ভারতের প্রথম ইনিংসে ৪১৬ রানের জবাবে ইংল্য়ান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৮৪ রানে। জনি বেয়ারস্টো একদিক থেকে লড়াই না করলে এই সম্মাবজনক স্কোরেও পৌছতে পারত না ব্রিটিশ লায়ন্সরা। সর্বোচ্চ ১০৬ রান করেন বেয়ারস্টো। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। এছাড়া ৩টি উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরা, ২টি উইকেট নেন মহম্মদ শামি, একটি উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ১২৫ রানে ৩ উইকেট। অর্ধশতরান করে ক্রিজে রয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা, ৩০ রানে অপরাজিত রয়েছেন ঋষভ পন্থ। ইংল্য়ান্ডের থেকে ২৫৭ রান করে এগিয়ে টিম ইন্ডিয়া।
৮৪ রানে ৫ উইকেট থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। ক্রিজে ছিলেন জনি বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকস। দুজন মিলে দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যান। বেয়ারস্টোকে তৃতীয় দিনে আগ্রাসী মেজাজে পাওয়া যায়। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন বেয়ারস্টো ও স্টোকস জুটি। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন জনি বেয়ারস্টো। দলের ১৪৯ রানের মাথায় ভাঙে তাদের জুটি। ২৫ রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হন বেন স্টোকস। উইকেট পড়লেও নিজের আগ্রাসী ব্য়াটিং চালিয়ে যান বেয়ারস্টো। অপরদিকে তাকে সঙ্গ দেন স্যাম বিলিংস। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করে ফেলেন তারা। ইংল্য়ান্ডের স্কোর যখন ৬ উইকেটে ২০০ তখন বৃষ্টি নামে। খেলা বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর লাঞ্চ ঘোষণা করে দেন আম্পায়াররা। লাঞ্চের পর বিরাট কোহলির সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন বেয়ারস্টো। তারপর আরও মারমুখী হয়ে ওঠেন। নিজজের শতরানও পূরণ করেন। বেয়ারস্টো ও বিলিংস ৯২ রানের পার্টনারশিপ করেন। অবশেষে দলের ২৪১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১০৬ রানে মহম্মদ শামির বলে আউট হন বেয়ারস্টো। এরপর ২৪৮, ২৬৭, ২৮৪ নিয়মিত ব্যবধানে পরপর উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় ইংল্য়ান্ড। ১ রানে স্টুয়ার্ড ব্রড, ৩৬ রানে স্য়াম বিলিংস, ১৯ রান করে ম্য়াথিউ পটস আউট হন। ৩টি উইকেট শিকার করেন সিরাজ।
প্রথম ইনিংসে ১৩২ রানের লিড নিয়ে ব্য়াট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও ভালো হয়নি ভারতীয় দলের। ফের বড় রান করে ব্যর্থ হন ভারতীয় ওপেনার। দলের ৪ রানের মাথায় আউট হন শুবমান গিল। ৪ রান করে জেমস অ্যান্ডারসনের শিকার হন তিনি। এরপর হনুমা বিহারা ও চেতেশ্বর পুজারা মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান। বেশ কিছু বাউন্ডারি মারেন চেতেশ্বর পুজারা। এরপর চা বিরতি ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তখন ভারতীয় দলের স্কোর ৩৭ রানে ১ উইকেট। চা বিরতির পরপরই দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত। ৪৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ভারতের। ১১ রান করে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে আউট হন হনুমা বিহারী। এরপর বিরাট কোহলি ও পুজারা মিলে বড় পার্টনারশিপ গডার চেষ্টা করেন। ইনিংসের শুরুটা ভালো করলেও দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় রান করতে ব্যর্থ হন বিরাট। দলের ৭৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২০ রান করে বেন স্টোকসের বলে আউট হন কোহলি। এরপর দলের ইনিংসের রাশ ধরেন পুজারা ও পন্থ। প্রথম ইনিংসের মতই আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন ঋষভ পন্থ। অপরদিকে ঠান্ডা মাথায় ইনিংস খেলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করে পুজারা। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন পুজারা-পন্থ জুটি। দিনের শেষের ভারত ১২৫ রানে ৩ উইকেট। চতুর্থ দিনে ভারতীয় দলের টার্গেট ম্য়াচ উইনিং টার্গেট সেট করে ইংল্য়ান্ডকে চাপে রাখা।
আরও পড়ুনঃএজবাস্টন টেস্টে শুধু শতরান নয়, ঋষভ পন্থ গড়লেন আরও একাধিক রেকর্ড, দেখে নিন এক ঝলকে