সংক্ষিপ্ত

ভারত বনাম ইংল্যান্ডের (India vs England) চতুর্থ দিনের খেলায় কিছুটা লড়াইয়ে ফিরল ইংল্যান্ড। প্রথম সেশনে চার উইকেট হারাল ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team)। লাঞ্চ পর্যন্ত ভারতের স্কোর ২২৯ রানে ৭ উইকেট।

প্রথম ইনিংসে ১৩২ রানের লিডের সৌজন্যে ম্য়াচে এখনও অ্যাডভান্টেজ টিম ইন্ডিয়ার। তবে চতুর্থ দিনে  ভারত বনাম ইংল্যান্ডে এজবাস্টন টেস্টে কিছুটা লড়াইয়ে ফিরল ব্রিটিশ লায়ন্সরা। চতুর্থ দিনে প্রথম সেশনের খেলায় সেভাবে দাগ কাটত পারল না ভারতীয় ব্যাটসম্য়ানরা। ৪ উইকেট তুলে নেয় ব্রিটিশ বোলাররা। প্রথম ইনিংসে ভারত করেছিল ৪১৬ রান। জবাবে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল ২৮৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ভারতের স্কোর ২২৯ রানে ৭ উইকেট। এখনও পর্যন্ত দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেছেন চেতেশ্বর পুজারা। পাশাপাশি প্রথম ইনিংসের ফর্ম ধরে রেখে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন ঋষভ পন্থ। ইংল্য়ান্ডের হয়ে দুটি করে  উইকেট নিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড ও ম্য়াথিউ পটস। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন জেমস অ্য়ান্ডারসন,বেন স্টোকস ও জ্যাক লিচ।  লাঞ্চ পর্যন্ত ভারতের লিড ৩৬১ রানের। 

১২৫ রানে ৩ উইকেট থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে ভারত। ক্রিজে ছিলেন চেতেশ্বর পুজারা ও ঋষভ পন্থ।  ৫০ রানে পুজারা ও ৩০ রানে ছিলেন পন্থ। দিনের শুরুটা ভালোই করেছিল দুই তারকা ক্রিকেটার। চতুর্থ দিনে জুটিতে তারা ২৮ রান যোগ করেন। তৃতীয় দিন নিয়ে ৭৮ রান যোগ করার পর ভাঙে জুটি। ১৫৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত। ৬৬ রান করে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে আউট হন চেতেশ্বর পুজারা। এরপর ঋষভ পন্থ ও শ্রেয়স আইয়র মিলে একটা ছোট পার্টনারশিপ গড়েন। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন ঋষভ পন্থ।  তবে দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় রান করতে ব্যার্থ হন শ্রেয়স আইয়র। দলের ১৯০ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট পড়ে। ১৯ রান করে ম্য়াথিউ পটসের বলে আউট হন শ্রেয়স আইয়র।

 

 

এরপর আর বড় পার্টনারশিপ গড়ে ওঠেনি। ব্যক্তিগত ৫৭ রান করে জ্যাক লিচের বলে আউট হন ভারতীয় উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ। ১৯৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট উইকেট পড়ে টিম ইন্ডিয়ার। একদিক থেকে ঠান্ডা মাথায় নিজের উইকেট বাঁচিয়ে ব্য়াটিং করে যান রবীন্দ্র জাদেজা। তাকে কিছুটা সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করলেও পারেননি  শার্দুল ঠাকুর। ২০৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে ভারতের। ৪ রান করে ম্যাথিউ পটসের বলে আউট হন শার্দুল ঠাকুর। এরপর ক্রিজে আসেন মহম্মদ শামি। জাদেজার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোরবোর্ড। ২২৯ রানে ৭ উইকেটের মাথায়  লাঞ্চ ঘোষণা করেন আম্পায়ার। ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা ও ১২ রানে ক্রিজে ছিলেন মহম্মদ শামি।