সংক্ষিপ্ত
ভারত বনাম ইংল্য়ান্ডের টি২০ সিরিজের (India vs England T20 Series) তৃতীয় ম্যাচে জয় পেল ইংল্য়ান্ড। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ২১৫ রান করে ইংল্য়ান্ড। জবাবে ১৯৮ রান করে ভারত। ১১৫ রানের অনবদ্য ইনিংলস খেলেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)।
অনবদ্য সেঞ্চুরি করেও দলকে জয় এনে দিতে ব্যর্থ হলেন সূর্যকুমার যাদব। টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে অবশেষে থামল অধিনায়ক রোহিত শর্মার বিজয় রথ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে প্রথম দুটি ম্য়াচ জিতে সিরিজ জ হয়ে গেলেও, সিরিজের শেষ ম্য়াচে হারের মুখ দেখতে হল ভারতকে। ১৭ রানে শেষ ম্য়াচ জিতল ব্রিটিশ লায়ন্সরা। ম্য়াচে টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্য়ান্ড অধিনায়র জস বাটলার। নির্ধারিত ২০ ওভারে প্রথমে ব্যাট করে ২১৫ রান করল ইংল্য়ান্ড। ম্য়াচে দলেরল হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন ডেভিড মালান। এছাড়া ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ভারতে হয়ে এই ম্যাচে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন হার্শল প্যাটেল ও রবি বিষ্ণোই। ২১৬ রানে বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে এদিন সূর্যকুমার যাদব ছাড়া ফেল করে ভারতের ব্যাটিং লাইন। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ১১৫ রানের ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার। এছাড়া শ্রেয়স আইয়রের ২৮ রান ছাড়া কোনও ব্য়াটসম্য়ান ২০-গণ্ডি টপকাতে পারেনি। ইংল্য়ান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট রিসি টপলে।
এদিন ব্য়াট করতে নেমে ৩১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে ইংল্য়ান্ডের। ১৮ রান করে আভেস খানের বলে আউট হন জস বাটলার। এরপর ডেভিড মালান ও জেসন রয় মিলে এগিয়ে নিয়ে যান দলের ইনিংস। দলের ৬১ রানের মাথায় উমরান মালিকের বলে ২৭ রান করে আউট হন জেসন রয়। অপরদিকে থেকে নিজের বিধ্বংসী ইনিংস চালিয়ে যান ডেভিড মালান। তার সঙ্গে বেশি সময় ক্রিজে সময় কাটাতে পারেননি ফিল সল্ট। ৮১ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। ৮ রান করে হার্শল প্যাটেলের বলে আউট হন সল্ট। এরপর ডেভিড মালানকে সঙ্গ দেন লিয়াম লিভিংস্টোন। অ্যাটাকিং ক্রিকেট খেলেন দুই ইংলিশ ব্য়াটসম্যান। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করে ফেলেন মালান। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন দুজন। জুটিতে ৮৪ রান করে অবশেষে ১৬৮ রানে চতুর্থ উইকেট পড়়ে ইংল্য়ান্ডের। ৩৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে আউট হন ডেভিড মালান। এরপর দলের ১৬৯ রানে খাতা না খুলেই রবি বিষ্ণোইয়ের দ্বিতীয় শিকার হন মইন আলি। এরপর ক্রিজে এসে হ্য়ারি ব্রুক ৯ বলে ১৯ রানের একটি ছোট ইনিংস খেলেন। দলের ১৯৭ রানের মাথায় হার্শল প্যাটেলর বলে আউট হন ব্রুক। শেষের দিকে লিভিংস্টোন ও ক্রিস জর্ডান মিলে দলের স্কোর দুশো পার করেন। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন জর্ডান। ৩ বলে ১১ রান করেন তিনি। ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন লিভিংস্টোন। ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান করে ইংল্যান্ড।
রান তাডা করতে নেমে এদিন ইনিংসের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। ৩১ রানের মধ্যেই দলের ৩ প্রথম সারির ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও ঋষভ পন্থ প্য়াভেলিয়নে ফেরত যান। ২, ১৩ ও ৩১ রানে পরপর উইকেট পড়ে ভারতের। ১ রান করে রিসি টপলের বলে আউট হন পন্থ। ১১ রান করে ডেভিড উইলির বলে আউট হন বিরাট কোহলি। ১১ রান করে টপলের দ্বিতীয় শিকার হন রোহিত শর্মা। এরপর দলের ইনিংসের রাশ ধরেন সূর্যকুমার যাদব ও শ্রেয়স আইয়র। দ্রুত উইকেট হারালেও সূর্য কুমার যাদ ক্রিজে এসেই বিধ্বংসী ব্য়াটিং করা শুরু করেন। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মারতে থাকেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শ্রেয়স আইয়র। ঝড়ের গতিতে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন সূর্যকুমার। নিজেদের মধ্যে শতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন সূর্যকুমার-শ্রেয়স জুটি। অবশেষে ১১৯ রান পার্টনারশিপ করা পর ভাঙে পার্টনারশিপ। ২৮ রান করে টপলের তৃতীয় শিকার হন শ্রেয়স। যদিও নিজের ব্য়াটে কোনও লাগাম টানেননি সূর্যকুমার। ৪৮ বলে নিজের শতরান পূরণ করেন। কিন্তু অপরদিক থেকে তাকে আর শেষের দিকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেনি। ৬ রান করে ডেভিড উইলির বলে আউট হন দীনেশ কার্তিক ও ৭ রান করে রিচার্ড গ্লেসনের বলে আউট হন রবীন্দ্র জাদেজা। তবে যতক্ষণ সূর্যকুমার যাদ ক্রিজে ছিলে জয়ের আশা রেখেছিল ভারতীয় সমর্থকরা। অবশেষে দলের ১৯১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫৫ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলে মইন আলির বলে আউট হন সূর্যকুমার যাদব। শেষের দিকে হার্শল প্য়াটেল ৫ ও রবি বিষ্ণোই ২ রান রান করে ক্রিস জর্ডানের বলে আউট হন। ৯ উইকেটে ১৯৮ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। ১৭ রানে ম্য়াচ জেতে ইংল্যান্ড। শেষ ম্য়াচ ইংল্যান্ড জিতলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল ভারত।