সংক্ষিপ্ত

ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের (India vs New Zealand) কানপুর টেস্ট (Kanpur Test)। চতুর্থ দিনের শেষে ম্যাচে চালকের আসনে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। ম্য়াচ জিততে অজিঙ্কে রাহানের (Ajinkya Rahane) দলের দরকার ৯ উইকেট।
 

তৃতীয় দিনের শেষেই ম্যাচের পাল্লা কিছুটা ভারতের দিকে ঝুঁকে ছিল। চতুর্থ দিনের শেষে কানপুর টেস্টের (Kanpur Test) একেবারে ড্রাইভিং সিটে ভারতীয় দল (Indian Team)। পঞ্চম দিনে খুব বড় অঘটন না ঘটলে ভারতের ম্যাচ জয় শুধুই সময়ের অপেক্ষা। ৪৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হয় ভারতের টপ অর্ডার। সেখান থেকে দলের ইনিংসের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন শ্রেয়স আইয়র (Shreyas Iyer), ঋদ্ধিমান  সাহারা (Wriddhiman Saha)। শ্রেয়স, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) ও অক্ষর প্যাটেলের (Axar Patel) বিপদে সময় লড়াকু ইনিংসের সৌজন্যে  ২৩৪ রান করে ভারতীয় দল। লিড নিয়ে নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) টার্গেট দাঁড়ায় ২৮৪ রান। রান তাড়া করতে নেমে দিনের শেষে এক উইকেট হারাতেও হয়েছে কিউইদের। পঞ্চম দিনে ভারতের দরকার ৯ উইকেট আর নিউজল্যান্ডের দরকার ২৮০ রান। 

ম্যাচে টস দিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় দল। শ্রেয়স আইয়রের সেঞ্চুরি ও শুভমানগিল এবং রবীন্দ্র জাদেজার অর্ধশতরানের সৌজন্যে ৩৪৫ রান করে ভারতীয় দল। নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নিয়েছিলেন টিম সাউদি। প্রথম ইনিংসে ভারতের রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ওপেনাররা ছাড়া কউই বড় রান পায়নি। টম ল্যাথামের ৯৫ ও উইল ইয়ংয়ের ৮৯ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ২৯৬ রান করে কিউইরা। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ অক্ষর প্যাটেল নেন ৫ উইকেট ও ৩টি উইকেট নেন অশ্বিন। ৪৯ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে শুভমান গিলকে হারিয়েছিল ভারতীয় দল। দিনের শেষে ভারতের স্কোর ছিল ১৪ রানে ১ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও চেতেশ্বর পুজারা।

চতুর্থ দিনের শুরুতেই ব্য়াটিং বিপর্যয়ে সম্মুখীন হন ভারতীয় দল। একের পর এক তারকা ব্যাটসম্যান আউট হওয়ায়  বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। দুরন্ত বোলিং করছিলেন  টিম সাউদি ও কাইল জেমিসন। ৫১ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায় ভারতের। সেই সময় ১৫০ টার্গট দিতে পারবে কিনা ভারতীয় দল তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়। শেষ পর্যন্ত দলের ইনিংসের রাশ ধরেন শ্রেয়স আইয়র ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দুজনে মিলে ৫২ রানের পার্টনারশিপ করেন। অশ্বিন ৩২ রান করে আউট হলেও নিজের ইনিমস চালিয়ে যান  শ্রেয়স। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান করেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন ঋদ্ধিমান সাহা। শেষে দলের ১৬৭ রানের মাথায় ও ব্যক্তিগত ৬৫ রানে আউট হন শ্রেয়স। শেষে ৬৭  রানেরঅরজিত পার্টনারশিপের সৌজন্যে  ম্যাচ জয়ের মত টোটালে পৌছে টিম ইন্ডিয়া। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন ঋদ্ধি। দিনের শেষে ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ঋদ্ধি।২৮  করে নট আউট থাকেন অক্ষর প্য়াটেল। লিড ও ২৩৪  রান নিয়ে নউজিল্য়ান্জকে ২৮৫ রানের টার্গেট দেয় ভারত। দিনের শেষে উইল ইংসকে আউট করেন অশ্বিন। ফলে যেভাবে কানপুরের উইকেট স্পিন সহায়ক হয়ে ওঠে তাতে ভারতের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।