সংক্ষিপ্ত

জোহানেসবার্গে (Johannesburg) ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম ইনিংসে ২০২ রানে অলআউট টিম ইন্ডিয়া (Team India)। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ ২২৯ রানে। ৭ উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর (ShardulThakur)।
 

'লর্ড' শার্দুল ঠাকুরের 'গোল্ডেন আর্মের' উপর  ভরসা করে জোহানেসবার্গ টেস্টে লড়াইয়ে টিকে থাকল ভারতীয় দল। এই মাঠকে কেন ভারতীয় দলের পক্ষে পয়া মাঠ বলা হয় তা এদিন ফের প্রমাণ করলেন শার্দুল ঠাকুর। প্রথম ইনিংসে বড় রানের লক্ষ্যে এগিয়ে চলা দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শুধু দুটো পার্টনারশিপ  ভাঙাই নয়, একই ৭উইকেট নিয়ে গুড়িয়ে দেন প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস। যদিও ভারতের ২০২ রানের জবাবে ২৭ রানের লিড প্রথম ইনিংসে আাদায় করে নিয়েছে ডিন এলগারের দল। সৌজন্যে কেগান পিটারসেন ও টেম্বা বাভুমার অর্ধশতরানের ইনিংস। ২২৯ রানে শেষে হয় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য কিছুটা চাপ  রয়েছে ভারতীয় দলের উপর। কারণ দুই ওপেনার ফিরে গিয়েছেন প্যাভেলিয়নে। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৮৫ রানে ২ উইকেট।ক্রিজে রয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা ও অজিঙ্কে রাহানে। দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে ৫৮ রানে এগিয়ে টিম ইন্ডিয়া।

দ্বিতীয় দিনে ৩৫ রানে ১ উইকেট থেকে খেলা শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় উইকেটে ডিন এলগার ও কেগান পিটারসেনের ৭৪ রানের পার্টনারশিপ ও ন টেম্বা বাভুমা ও কাইল ভেরেইনির ৬২ রানের পার্টনারশিপের কারমেই ভারতের স্কোর টপকাতে  সক্ষম হয় প্রোটিয়ারা। কেগান পিটারসেন করেন ৬২ ও টেম্বা বাভুমা। এছাড়াও কোনও ব্য়াটসম্যান বড় স্কোর করতে পারেননি। কিন্তু একসময় ডিন এলগার ও কেগান পিটারসেন ও টেম্বা বাভুমা ও কাইল ভেরেইনির পার্টনারশিপ ভারতীয় দলের চিন্তা বাড়াচ্ছিল তখন দুবারই সেই জুটি ভাঙেন শার্দুল ঠাকুর। এছাড়া শার্দুলের বোলিংয়ের কোনও জবাব ছিল প্রোটিয়া ব্য়াটসম্য়ানদের সামনে। এছাড়া ২ থেকে  ৭ প্রোটিয়াদের পরপর ৫টি উইকেট শিকার করেন শার্দুল। ইনিংসে নেন মোট ৭ উইকেট। যা কিনা দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারতীয় বোলারদের পক্ষে রেকর্ড পারফরম্যান্স। এছাড়া ২টি উইকেট নেন মহম্মদ শামি ও একটি উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরা।

২৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ভারতীয় দল। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও কেএল রাহুল। দলের ২৪ ও ৪৪ রানে দুটি উইকেট পড়ে। ৮ রানে করে মার্কো জানসেনের শিকার হন রাহুল ও ২৩ রান করে অলিভিয়েরের বলে আউট হন মায়াঙ্ক। অফ ফর্মে থাকলেও বেলা শেষ ভারতীয় ইনিংসকে কিছুটা নির্ভরতা দেন দুই মিডল অর্ডার ব্য়াটসম্য়ান চেতেশ্বর পুজারা ও অজিঙ্কে রাহানে। দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৮৫ রানে ২ উইকেট। ৩৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন পুাজারা ও ১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন রাহানে। তৃতীয় দিনে দলকে বড় রানের লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়া ও নিজেদের আরও একবার প্রমাণ করতে পারেন কিনা এই দুই অভিজ্ঞ ব্য়াটসম্যান সেদিকেই নজর ক্রিকেট প্রেমিরা।