সংক্ষিপ্ত

দ্বিতীয় একদিনের ম্য়াচেও বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হল জিম্বাবোয়ে দল। ১৬১ রানে অলআউট হয়ে গেল রেগিস চাকাবাভার (Regis Chakabva)দল। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিলেন শার্দুল ঠাকুর। কেএল রাহুলের (KL Rahul) দলের টার্গেট ১৬২।
 

ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয় জিম্বাবোয়ে দলের। ভারতীয় বোলিং অ্যাটাকের সামনে প্রথম ম্যাচের থেকেও কম রানে গুটিয়ে গেল জিম্বাবোয়ের ইনিংস। প্রথম ম্যাচে ১৮৯ রান করেছিল রেগিস চাকাবাভার দল। আর দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ১৬১-তেই অলআউট পুরো টিম। ম্য়াচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক কেএল রাহুল। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থ মর্যাদা  দুরন্ত বোলিং করে দিলেন বোলাররা। ৩৮.১ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবোয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন সিন উইলিয়ামস। এছাড়া ৩৯ রান করেন রায়ান ব্রুল। এছাড়া অন্য কোনও জিম্বাবোয়ের ব্যাটসম্যান ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর।

 

 

এদিন ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবোয়ে। সেভাবে কোনও বড় পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে পারেননি  জিম্বাবোয়ের ব্যাটাররা। ২০ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ৭ রান করে মহম্মদ সিরাজের বলে আউট হন কাইতানো। এরপর ২৭ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইতেট। ১৬ রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হন ইনোসেন্ট কাইয়া। তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পেতে বেশি প্রতীক্ষা করতে হয়নি টিম ইন্ডিয়াকে। ২৯ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। ২ রান করে শার্দুল ঠাকুরের দ্বিতীয় শিকার হন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ত রেগিস চাকাবাভা। ৩১ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। ২ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হন উইসলি মাধেভিরে। এরপর সিন উইলিয়ামস ও সিকন্দর রাজা কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। জুটিতে তারা ৪১ রান যোগ করেন। কিন্তু বেশি বড় পার্টনারশিপ গড়ে ওঠেনি। ৭২ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে। ১৬ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে আউট হন সিকন্দর রাজা। 

 

 

এরপর একদিক থেকে সিন উইলিয়ামস কিছুটা রান করলেও অন্যদিক থেকে আর কোনও ব্যাটসম্যানই রান করতে পারেননি। ১০৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে। ৪২ রান করে দীপক হুডার বলে আউট হন সিন উইলিয়ামস। ১২৯ রানে পড়ে সপ্তম উইকেট। ৬ রান করে শার্দুল ঠাকুরের তৃতীয় শিকার হন লুইক জনগে। দলের ১৪৯ রানে ব্যক্তিগত ৯ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট হন ব্র্যাড ইভান্স। এরপর শেষ দুটি উইকেট রান আউট হয় জিম্বাবোয়ের ব্যাটাররা। ১৫৬ রানে ভিক্টর নাউচি ও ১৬১ রানে তানাকা চিভাঙ্গা। ভারতের হয়ে শার্দুল ঠাকুরের ৩টি উইকেট ছাড়াও একটি করে উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ,প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, অক্ষর প্যাটেস কুলদীপ যাদব ও দীপক হুডা। ভারতের টার্গেট ১৬২ রান।