সংক্ষিপ্ত

আজ আইপিএল ২০২২-এর প্লে অফে (IPL 2022 Playoffs) মেগা ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে রাজস্থান রয়্যালস বনাম গুজরাট টাইটানস (RR vs GT)।  ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ১৮৮ রান করল রাজস্থান রয়্যালস। সর্বোচ্চ ৮৯ রান করলেন জস বাটলার। রান তাড়া করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় গুজরাট। সর্বোচ্চ ৬৮  রান করেন ডেভিড মিলার। 

আইপিএলের প্রথম মরসুমেই  অনবদ্য ক্রিকেট খেলে ফাইনালে উঠল গুজরাট টাইটানস। ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএল ২০২২-এর প্রথম কোয়ালিফায়ারে সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারাল হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট। ম্য়াচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট টাইটানস অধিনায়ক হার্দিকা পান্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করল রাজস্থান রয়্যালস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন জস বাটলার। এছাড়া ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন সঞ্জু স্যামসন। ২৮ রান করেন দেবদূত পাড়িকল। রান তাড়া করতে নেমে ১৯ ওভার ৩ বলেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় গুজরাট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন ডেভিড মিলার। এছাডডা ৪০ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া ও ৩৫ রান করেন শুবমান গিল এবং ম্য়াথু ওয়েড। 

 

 

এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি রাজস্থান রয়্যালসের। ১১ রানেই প্রথম উইকেট পড়ে। ৩ রান করে যশ দয়ালের বলে আউট হন যশশ্বী জয়সওয়াল। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ও  জস বাাটলার। ক্রিজে এসে প্রথম থেকেই বিধ্বংসী ব্য়াটিং শুরু করেন সঞ্জু। অপরদিকে এদিন সাবধানী ব্যটিং করতে দেখা যায় বাটলারকে। নিজেদের অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন সঞ্জু ও বাটলার জুটি। ২৬ বলে ৪৭ রান করে দলের ৭৯ রানের মাথায়  সাই কিশোরের বলে  আউট হন সঞ্জু। এরপর দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান জস বাটলার ও দেবদূত পাড়িকল। দুজন মিলে জুটিতে ৩৭ রান যোগ করেন। দলের ১১৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৮ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বোল্ড হন পাড়িকল। অপরদিকে নিজেরে অর্ধশতরান পূরণ করে ফেলেন জস বাটলার।  তারপর বিধ্বংসী রূপ ধারন করেন বাটলার।  হেটমায়াররের সঙ্গে ৪৫ রানের পার্টনারশিপ করেন।  দলের ১৬১ রানে ব্যক্তিগত ৪ রান করে মহম্মদ শামির বলে আউট হন হেটমায়ার।  শেষ ওভারে গিয়ে ৮৯ রান করে রান আউট হন তিনি। এছাডডা ৪ রান করে রান আউট হন রিয়ান পরাগও। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৮৮ রানে থামে রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংস। 

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি গুজরাট টাইটানসের। প্রথম ওভারে খাতা না খুলেই ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন শুবমান গিল ও ম্যাথু ওয়েড। দুজন মিলে উইকেট বাঁচানোর পাশাপাশি বাজে বলে প্রহারও করেন। দুজন মিলে দ্রুত গতিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন। ৭২ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে গুজরাটের। দুর্ভাগ্যবশত ৩৫ রান করে রান আউট হন শুবমান গিল। এরপর ক্রিজে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে অপরদিকে বেশি সময় ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি ওয়েড। দলের ৮৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩৫ রানে ওবেড ম্য়াককয়ের বলে আউট হন ম্য়াথু ওয়েড। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া ও ডেভিড মিলার মিলে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড।  আক্রমণাত্নক ইনিংস খেলে নিজেদের অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ দুই তারকা। বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো শট খেলেন দুই তারকা ব্য়াটসম্যান। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন ডেভিড মিলার। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রান। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার প্রথম ৩ বলে ৩টি ছয় মেরেই খেলা শেষ করে দেন ডেভিড মিলার। ৩৮ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত  থাকেন ডেভিড মিলার। ২৭ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া। ২৯ তারিখ মেগা ফাইনালে পৌছে গেল গুজরাট টাইটানস।