সংক্ষিপ্ত
আইপিএল ২০২২ -এর প্লে অফের (IPL 2022 Playoffs) দ্বিতীয় এলিমিনেটরে মুখোমুখি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও রাজস্থান রয়্যালস (RCB vs RR)। প্রথমে ব্য়াট করে ১৫৭ রান করল আরসিবি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন রজত পাতিদার। রান তাড়া করতে নেমে ১৮ ওভার ১ বলে ম্য়াচ জিতে নেয় রাজস্থান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৬ রান করেন জস বাটলার।
২০০৮ সালে পর ফের আইপিএল ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালস। প্রথম প্রয়াত কিংবদন্তী শেন ওয়ার্নার অধিনায়কত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান। তারপর ১৫ তম মরসুমে শেন ওয়ার্নের প্রয়াণের বছরে ফের একবার আইপিএল জয়ের সুযোগ রয়্যালসদের। অপরদিকে আইপিএল জয়ের স্বপ্ন ফের অধরা থেকে গেল আরসিবির। ফের প্লেঅফ থেকে বিদায় নিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আইপিএল ২০২২-এর প্লে অফের দ্বিতীয় এলিমিনেটরে আরসিবিকে ৭ উইকেটে হারাল রাজস্থান। ম্য়াচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। নির্ধারিত ২০ ওভারে উইকেট হারিয়ে রান করে আরসিবি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন রজত পাতিদার। এছাড়া ২৫ রান করে ফাফ ডুপ্লেসি ও ২৪ রান করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। রাজস্থানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ও ওবেড ম্য়াককয়। রান তাড়া করতে নেমে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় সঞ্জু স্যামসনের দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন জস বাটলার। মরসুমের চতুর্থ সেঞ্চুরির পাশাপাশি এক মরসুমে ৮০০ রানের গণ্ডিও টপকে যান বাটলার। এছাড়া ২৩ রান করেন সঞ্জু স্যামসন, ২১ রান করেন যশশ্বী জয়সওয়াল। আরসিবির হয়ে দুটি উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড। এই জয়ের পর ১৪ বছর পর আইপিএল ফাইনালে রাজস্থান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরুটা ভালো হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। ৯ রানেই প্রথম উইকেট পড়ে আরসিবির। ৭ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হন বিরাট কোহলি। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন ফাফ ডুপ্লেসি ও রজত পাতিদার। দুজন মিলে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন। দলের ৭৯ রানে ব্যক্তিগত ২৫ রান করে ওবেড ম্যাককয়ের বলে আউট হন ফাফ ডুপ্লেসি। এরপর ক্রিজে এসেই আক্রমণাত্মক ২৪ রানের ইনিংস খেলেন গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল। দলের ১১১ রানের মাথায় ট্রেন্ট ব্লোটের বলে আউট হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান রজত পাতিদার। অর্ধশতরান করেন তিনি। ১৩০ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে আরসিবির। ৫৮ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আউট হন রজত পাতিদার। ১৪১ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে আরসিবির। ৮ রান করে ওবেড ম্যাককয়ের বলে আউট হন মাহিপাল লোমর। পরপর উইকেট হারিয়ে রানের গতিবেগ কমে যায়। শেষের দিকে নিয়মিত ব্য়বধানে উইকেট হারায় আরসিবি। ১৪৬ রানে পরপর দুটি উইকেট নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ৬ রান করে আউট হন দীনেশ কার্তিক। পাশাপাশি খাতা না খুলেই বোল্ড হন ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গা। শেষ ওভারে ওবেড ম্য়াককয়ের বলে ১ রান করে আউট হন হার্শল প্য়াটেল। শেষ পর্যন্ত ১৫৭ রানে শেষ হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করে রাজস্থান রয়্য়ালসের দুই ওপেনার জস বাটলার ও যশশ্বী জয়সওয়াল। মারকাটারি ব্য়াটিং শুরু করেন দুজন। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মারেন বাটলার। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন বাটলার ও যশশ্বী জুটি। ষষ্ঠ ওভারে ৬১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে রাজস্থানের। ২১ রান করে জস হ্যাজেলউডের বলে আউট হন যশশ্বী জয়সওয়াল। এরপর ক্রিজে আসেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞজু স্যামসন। বাটলার যোগ্য সঙ্গ দেন তিনি। বালরা নিজের আক্রমণাত্মক ইনিংস চালিয়ে যান ও অর্ধশতরান পূরণ করেন। সঞ্জু-বাটলার জুটিও অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন। ১১৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে রাজস্থানের। এরপর দেবদূত পাড়িকল আসেন ক্রিজে। নিজের অনবদ্য ব্য়াটিং চালিয়ে যান বাটলার। ১৪৮ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে রাজস্থানের। ৯ রান করে হ্যাজেলউডের বলে আউট হন তিনি। অন্যদিকে মরসুমের চতুর্থ শতরান পূরণ করেন জস বাটলার। ৫৯ বলে পূরণ করেন শতরান। এর আগে বিরাট কোহলির ২০১৬ সালে ৪টি শতরান করেছিলেন। তাকে ছুলেন বাটলার। শেষে ১১ বল বাকি থাকতে ছয় মেরে খেলা শেষ কররেন বাটলার। ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন জস বাটলার। ২ রানে অপরাজিত থাকেন হেটমায়ার। এই জয়ের ফলে আগামি ২৯ তারিখ আইপিএল ২০২২-এর মেগা ফাইনালে গুজরাট টাইটানসের মুখোমুখি হবে রাজস্থান রয়্যালস।