সংক্ষিপ্ত
আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এর গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে মুখোমুখি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও লখনউ সুপার জায়ান্টস (RCB vs LSG)। প্রথমে ব্য়াট করে ১৮১ রান করল আরসসিবি। সর্বোচ্চ ৯৬ রান করলেন অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। লখনউয়ের ইনিংস শেষ হয় ১৬৩ রানে।
আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারিয়ে লিগ টেবিলের আরও উপরে উঠল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। কেএল রাহুলের দলকে ১৮ রানে হারাল ফাফ ডুপ্লেসির দল। ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন কেএল রাহুল। প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। এছাড়া ২৬ করেন শাহবাজ আহমেদ, ২৩ রান করেন গ্লেন ম্যাক্স ওয়েল ও শেষের দিকে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন দীনেশ কার্তিক। লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন দুষ্মান্তা চামিরা ও জেসন হোল্ডার। রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে থামে লখনউয়ের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। এছড়া ৩০ করেন কেএল রাহুল, ২৪ রান করেন মার্কাস স্টয়নিস। আরসিবির হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড।
এদিন ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। ৭ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ৪ রান করে দুষ্মান্তা চামিরার বলে আউট হন অনুজ রাওয়াত। এরপর ক্রিজে এসে খাতা না খুলেই দুষ্মান্তা চামিরার প্রথম বলে আউট হন বিরাট কোহলি। এরপর গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল এসে দ্রুত গতিতে রান করা শুরু করেন। কিন্তু বেশিক্ষণ তিনিও ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। ৪৪ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে আরসিবির। ২৩ রান করে ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার বলে আউট হন তিনি। এরপর সুযশ প্রভুদেশাইও বড় স্কোর করতে ব্যার্থ হন। ৬২ রানের মাথায় ১০ রান করে জেসন হোল্ডারের বলে আউট হন সুযশ প্রভুদেশাই। এরপর চাপের মুহূর্তে ফাফ ডুপ্লেসির সঙ্গে ইনিংসের রাশ ধরেন শাহবাজ আহমেদ। আক্রণাত্মক শট খেলেন ডুপ্লেসি ও তাকে সঙ্গ দেন শাহবাজ আহমেদ। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন তারা। নিজের হাফ সেঞ্চুরিও পূরণ করেন আরসিবি অধিনায়ক। অবশেষে ৭০ রানের পার্টনারশিপ করার পর ভাঙে জুটি। দুর্ভাগ্যবশত ব্যক্তিগত ২৬ রানে রান আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান শাহবাজ আহমেদ। এরপর আরসিবির স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান ডুপ্লেসি ও দীনেশ কার্তিক। দুজনে মিলে দ্রুত গতিতে ৪৯ রানের পার্টনারশিপ করেন। শেষ ওভারে বিগ হিট করতে গিয়ে শতরান থেকে মাত্র ৪ রান দূড়ে থামেন ডুপ্লেসি। ৯৬ রান করে হোল্ডারের বলে আউট হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৮১ রানে থামে আরসিবি।
রান তাড়া করে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি লখনউ সুপার জায়ান্টসের। ১৭ রানের প্রথম উইকেট পড়ে লখনউয়ের। ৩ রান করে জস হ্যাজেলডের বলে আউট হন কুইন্টন ডিকক। অপরদিক থেকে কেএল রাহু কিছু আক্রমণাত্মক শট খেললেও তার সঙ্গে বেশিক্ষণ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি মনীশ পাণ্ডে। ৩৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ৬ রান করে হ্যাজেলডের দ্বিতীয় শিকার হন মনীশ পাণ্ডে। এরপর ক্রুণাল পান্ডিয়া ও কেএল রাহুল মিলে ৩১ রানের একটা ছোট পার্টনারশিপ করে। দলের ৬৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩০ রানে হার্শল প্যাটেলের বলে আউট হন কেএল রাহুল। ক্রুণাল পাণ্ডিয়া কিছুটা লড়াই করেন। দীপক হুডাকে সঙ্গে নিয়ে ৩৬ রানের পার্টনারশিপ করেন। ১০০ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। ১৩ রান করে মহম্মদ সিরাজের বলে আউট হন হুডা। এরপর প্যাভেলিয়নে ফেরে ক্রুণাল। ১০৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪২ রানে ম্যাক্সওয়েলের বলে আউট হন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। এরপর ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান আয়ূশ বাদোনি ও মার্কাস স্টয়নিস। এবারও বড় পার্টনারশিপ আসেনি। ১৩৫ রানে পড়ে ষষ্ঠ উইকেট। হ্যাজেলউডের বলে ১৩ রান করে আউট হন বাদোনি। ১৪৮ রানে পড়ে সপ্তম উইকেট। ২৪ রান করে হ্যাজেলউডের চতুর্থ শিকার হন স্টয়নিস। শেষ ওভারে দুটি ছয় জেসন হোল্ডার মেরে আউট হন। ১৬ রান করে হার্শল প্যাটেলের বলে আউট হন তিনি। শেষ পর্যন্ত১৬৩ রানে শেষ হয় লখনউয়ের ইনিংস। এই ম্য়াচ জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে ২ নম্বরে উঠে এল আরসিবি।