সংক্ষিপ্ত
আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে মুখোমুখি রাজস্থান রয়্যালস ও পঞ্জাব কিংস (RR vs PBKS)। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ১৮৯ রান করল মায়াঙ্ক আগরওয়ালের দল। সঞ্জু স্যামসনের দলের চার্গেট ১৯০ রান। রান তাড়া করতে নেমে ২ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় রাজস্থান।
আইপিএলে ফের হার পঞ্জাব কিংসের। রাজস্থান রয়্যালস ম্য়াচ জিতল ৬ উইককেটে। এই জয়ের ফলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারে ওঠার আরও কাছে পৌছল সঞ্জু স্যামসনের দলের। অপরদিকে শেষ চারে ওঠার আশা জিইয়ে রাখতে গেলে শেষ তিনটি ম্যাচ জিততেই হবে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের দলকে।ম্য়াচে টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পঞ্জাব কিংস অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করল পঞ্জাব কিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন জনি বেয়ারস্টো। এছাড়া ৩৮ রান করেন জিতেশ শর্মা ও ২৭ রান করেন ভানুকা রাজাপক্ষ ও ২২ রান করেন লিযাম লিভিংস্টোন। রাজস্থানের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহল। রান তাড়া করতে নেমে ১৯ ওভার ৪ বলে উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় রাজস্থান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন যশশ্বী জয়সওয়াল। এছাড়া ৩১ রান করেন শিমরন হেটমায়ার ও দেবদূত পাড়িকল। ৩০ রান করেন জস বাটলার। ২ ম্য়াচ হারের পর জয়ে ফিরে খুশি রাজস্থান রয়্যালস।
এদিন ব্য়াট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেছিল পঞ্জাব কিংস। ওপেনি জুটিতে ৪৭ রানের পার্টনারশিপ করে জনি বেয়ারস্টো ও শিখর ধওয়ান। এরপর ১২ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আউট হন শিখর ধওয়ান। এরপর ভানুকা রাজপক্ষ জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ৪২ রানে পার্টনারশিপ করেন। ৮৯ রানে দ্বিতীয় দ্বিতীয় উইকেট হারায় পঞ্জাব। ২৭ রান করে যুজবেন্দ্র চাহলের বলে আউট হন ভানুকা রাজাপক্ষ। তিনি করেন ২৭ রান। অপরদিকে বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো শট খেলেন বেয়ারস্টো। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। অপরদিকে, এদিনও ব্য়াট হাতে বড় রান করতে ব্যর্থ হন পঞ্জাব অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ১৫ রান করে যুজবেন্দ্র চাহলের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ১১৮ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। এরপর ১ রানের মধ্যে পড়ে পঞ্জাবের চতুর্থ উইকেট। ব্যক্তিগত ৫৬ রান করে চাহলের তৃতীয় শিকার হন জনি বেয়ারস্টো। এরপর পঞ্জাবের ইনিংসের রাশ ধরেন জিতেশ শর্মা ও লিয়াম লিভিংস্টোন। দুজন মিলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। শেষ পর্যন্ত ৫০ রানের পার্টনারশিপ করে আউট হন লিভিংস্টোন। ২২ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হন তিনি। ১৬৯ রানে পড়ে পঞ্জাবের পঞ্চম উইকেট। শেষ ওভারেও বিধ্বংসী ব্য়াটিং করেন জিতেশ শর্মা। দলের স্কোর ১৮৯ রানে নিয়ে যান তিন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করে রাজস্থান রয়্যালসও। ওপেনিং জুটিতে যশশ্বী জয়সওয়াল ও জস বাটলার মিলে ৪৬ রানের পার্টনারশিপ করেন। বেশ কিছু আক্রণমাত্মক শট খেলেন তারা। শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ৩০ রানে কাগিসো রাবাডার বলে আউট হন জস বাটলার। এরপর সঞ্জু স্যামসন এসে কিছটা ধরেন ইনিংসের রাশ। যশশ্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে ৩৯ রানের পার্টনারশিপ করেন। ৮৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ২৩ রান করে ঋষি ধওয়ানের বলে আউট হন তিনি। এরপর দেবদূত পাড়িকল আসেন ক্রিজে। অপরদিকে অনেক দিন পর দলে সুযোগ পেয়ে অনবদ্য ব্য়াটিং করেন যশশ্বী জয়সওয়াল। নিজের অর্দশতরানও পূরণ করেন। পাড়িকল ও যশশ্বী জুটি নিজেদের অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন। এরপর দলের ১৪১ রানের মাথায় ব্যক্তগত ৬৮ রান করে অর্শদীপ সিংয়ের বলে আউট হন যশশ্বী জয়সওয়াল। এরপর দেবদূত পাড়িকল ও শিমরন হেটমায়ার মিলে দলকে জয়ের লক্ষে এগিয়ে নিয়ে যান। বেশ কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন হেটমায়ার। ১৮২ চতুর্থ উইকেট পড়ে রাজস্থানের। ৩১ রান করে অর্শদীপ সিংয়ের বলে আউট পাড়িকল। এরপর হেটমায়ার ২ ব আগেই দলকে জয় এনে দেন। ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থান ধরে রাখ রাজস্থান।