সংক্ষিপ্ত

আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও পঞ্জাব কিংস (MI vs PBKS)। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ১৯৮ রান করল মায়াঙ্ক আগরওয়ালের দল। রান তাড়া করতে নেমে ১৮৬ রানে শেষ হয় মুম্বইয়ের ইনিংস।
 

আইপিএল ২০২২-এ টানা পঞ্চম হার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। রোহিত শর্মার দলকে ১২ রানে হারাল মায়াঙ্ক আগরওয়ালের পঞ্জাব কিংস। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান করে পঞ্জাব কিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ বলে ৭০ রান করেন শিখর ধওয়ান।  এছাড়া ৩২ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন পঞ্জাব অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। এছাড়া ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন জিতেশ শর্মা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন বাসিল থাম্পি। রান তাড়া করতে নেমে  ৯ উইকেটে ১৮৬ রানে শেষ হয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংস। দলে হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। শেষের দিকে সূর্যকুমার যাদব ৪৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেওয়ার চষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।  পঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন ওডিয়ান  স্মিথ ও ২টি উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা।

এদিন  টস হারলেও ব্যাটিংয়ের শুরুটা অনবদ্য করেন পঞ্জাব কিংসের দুই ওপেনার পঞ্জাব কিংস মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও শিখর ধওয়ান। প্রথম থেকেই একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলতে থাকেন দুই তারকা। ওপেনিং জুটিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন দুই তারকা। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন মায়াঙ্ক। শেষ পর্যন্ত দশম ওভারে দলের ৯৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে পঞ্জাবের। ৫২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে মুরগান অশ্বিনের বলে আউট হন মায়াঙ্ক আগরওয়াল।  এরপর জনি বেয়ারস্টো। ১২ রান করে জয়দেব উনাদকাটের বলে আউট হন। ১২৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে পঞ্জাবের। লিয়াম লিভিংস্টোনও মাত্র ২ রান করে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান। জসপ্রীত বুমরার শিকার হন তিনি। ১৩০ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে পঞ্জাবের। অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান শিখর ধওয়ান। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। ১৫১ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে পঞ্জাব কিংসের। ব্যক্তিগত ৭০ রান করে বাসিল থাম্পির বলে আউট হন শিখর ধওয়ানি।  এরপর  শেষের দিকে জিতেশ শর্মা ও শাহরুখ খান মারকাটারি ব্য়াটিং করেন। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মারেন তারা। ৪৬ রানের পার্টনারশিপ করেন। শেষ ওভারে থাম্পির বলে আউট হন শাহরুখ খান। ৬ বলে ১৫  রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৫ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন জিতেশ শর্মা। ২০ ওভারে ১৯৮ রান করে পঞ্জাব কিংস। 

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন রোহিত শর্মা ও ইশান কিশান। ৩১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। ২৮ রান করে কাগিসো রাবাডার বলে আউট হন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক। ১ রানের মধ্যেই দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়। ৩ রান করে বৈভব অরোরার বলে আউট হন ইশান কিশান। এরপর মুম্বইয়ের ইনিংসের রাশ ধরেন ডিওয়াল্ড ব্রেভিস ও তিলক ভার্মা। উইকেট বাঁচানোর পাশাপাশি দ্রুত গতিতে দলের স্কোরও এগিয়ে নিয়ে যান দদুই তারকা। দুই তরুণ তারকার দাপুটে ব্যাটিংয়ে ভর করে ম্যাচে টিকে থাকে মুম্বই। ৮৪ রানের পার্টনারশুপ করার পর ভাঙে জুটি। ১১৬ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। ২৫ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে ওডিয়ান স্মিথের বলে আউট হন ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। এরপর সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শুরু করলেও দলের ১৩১ রানের মাথায় দুর্ভাগ্যবশত ব্যক্তিগত ৩৬ রানে আউট হন তিলক ভার্মা। এরপর কায়রন পোলার্ডও বেশি সময় দাঁড়াতে পারেননি। তিনি ব্যক্তিগত ১০ রানে রান আউট হন পোলার্ড। ১৫২ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে। তবে অপরদিক থেকে নিজের দুরন্ত ফর্ম বজায় রাখেন সূর্যকুমার যাদব। একের পর এক ছক্কা হাকান তিনি। কিন্তু ১৯ তম ওভারে বিগ হিট করতে গিয়ে উইকেট হারান সূর্যকুমার। ৩০ বলে ৪৩ রান করে কাগিসো রাবাডার বলে আউট হন তিনি। শেষ ওভারে বিগ হিট করতে গিয়ে ১২ রানে আউট হন উনাদকাট। বুমরাও খাতা না খুলে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান। শূন্য রানে আউট হন তাইমাল মিলসও। শেষ ওভারে তিন উইকেট নেন ওডিয়ান স্মিথ। ১৮৬ রানে শেষ হয় মুম্বইয়ের ইনিংস। ১২ রানে ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে উঠে এল পঞ্জাব কিংস।