সংক্ষিপ্ত
- হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি
- শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটাই স্থিতিশীল বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের
- শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে এবং মহারাজের সঙ্গে কথা বলতে নিজেই ফোন করলেন মোদী
- পাশাপাশি সৌরভের চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম চিকিৎসার আশ্বাস দেন
শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটাই স্থিতিশীল। তার পরেও উদ্বেগ যেন কমছে না বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলিকে নিয়ে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রাক্তন সেরা ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। তার আরোগ্য কামনায় প্রিয়জন থেকে অনুরাগীরা সকলেই একজোট হয়েছেন। হাসপাতালে ভিআইপি-র ভিড় থেকে একের পর এক ফোন এসেই চলেছে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে। সকলেই তার শারীরিক অবস্থার খবর জানতে মরিয়া। এর মধ্যেই গতকাল সন্ধ্যায় খোঁদ ফোন এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর থেকে।
সৌরভ গাঙ্গুলির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে এবং মহারাজের সঙ্গে কথা বলতে নিজেই ফোন করলেন মোদীজি। মহারাজের পরিবার সূত্রে খবর, নরেন্দ্র মোদী ফোন করে শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন এবং তার পাশাপাশি সৌরভের চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম চিকিৎসার আশ্বাস দেন। এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলেও সেই দিক থেকেও কেন্দ্রের সহায়তা সবসময়েই থাকবে সৌরভের পাশে, তেমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
তবে শারীরিক খোঁজখবরের নেওয়ার জন্য মোদীর এই ফোন পেয়ে অনেকটাই আপ্লুত সকলের প্রিয় দাদ। গত শনিবার সকালবেলাই শরীরচর্চা করার সময় আচমকাই বুকে ও পিঠে ব্যথা অনুভব করেন সৌরভ। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । এবং তখনই চিকিৎসকরা জানান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তারপরই পরীক্ষায় দেখা যায়, হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী তিনটি ধমনীতে ব্লকেজও রয়েছে সৌরভের। এবং হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এই মুহূর্তে সৌরভের বাইপাস সার্জারি করা হবে না। শনিবারই একটি স্টেন্ট বসানো হয়েছিল। আরও দুটো স্টেন্ট এখনওম বসানো হবে। তবে যে ধমনীতে অনেকটা বেশি ব্লকেজ ছিল তা এখন পুরোপুরি মুক্ত। বর্তমানে অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে সৌরভ। এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে সহযোগিতার পাশাপাশি গল্পও করছেন সৌরভ। দাদর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সমস্ত মহলে উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়েছিল। অমিত শাহ থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় সকলেই স্বাস্থ্যের খবর নেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিজে গিয়ে মহারাজের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। সকলের প্রার্থনাতে অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন সকলের প্রিয় দাদা।