সংক্ষিপ্ত
- বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে রোহিত ঝড়
- বাংলা ব্রিগেডের বিরুদ্ধে হাঁকালেন ছটি ছয়
- রাজকোটে নতুন রেকর্ড গড়লেন হিটম্যান
- নিজের ছয় মারার রহস্য ফাঁস করলেন রোহিত
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, যুবরাজ সিং, বিরেন্দ্র শেহওয়াগের পর ভারতীয় ক্রিকেটে কেউ যদি ছয় মারাটেকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন তাহলে সেটা রোহিত শর্মা। টেস্ট ক্রিকেট হোক বা একদিনের ক্রিকেট, কিংবা টি-২০ ভারতীয় দলে ছক্কা হঁকানোর রাজা এখন রোহিত শর্মা। বৃহস্পতিবার রাজকোটে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছটি ছয় মারলেন হিটম্যান। সঙ্গে গড়লেন নতুন একটি রেকর্ডও। টি-২০ ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে সব থেকে বেশি ছয় মারার রেকর্ড করলেন রোহিত। অধিনায়ক হিসেবে ১৭টি ইনিংসে ৩৬টি ছয় মেরেছেন রোহিত। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ধোনির নামে। ৬২ ইনিংসে ৩৪টি ছয় মেরেছিলেন মাহি।
আরও পড়ুন - রোহিত ধামাকায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজে সমতা ফেরালো ভারত
রোহিতের ছক্কা হাঁকানো দেখে মুগ্ধ প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। রাজকোট ম্যাচের পর বিরু বলেছেন, ‘এক ওভারে তিন-চারটি ছয় মারা একটি শিল্প। ও যে মেজাজে ব্যাটিং করছে তেমন বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং করতে আমি কোহলিকেও দেখিনি।’ কিন্তু এমন সহজে কী করে ছয় মারেন রোহিত? রাজকোটে ম্যাচ শেষে রোহিতকে পাকরাও করেন ভারতীয় দলের স্পিনার চাহাল। বিসিসিআই টিভির এক ইন্টারভিউ পর্বে তিনি জানতে চান কী ভাবে এত ছয় মারতে পারেন রোহিত? উত্তরে হিটম্যান বলেন, ছয় মারার জন্য পেশী শক্তির প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন - চলচ্চিত্র উত্সবে সৌরভের অভিষেক, অমিতাভ শাহরুখদের পাশে এবার মহারাজও
তবে এখানেই শেষ নয়, এক ওভারে পরপর তিনটি ছয় মারার পর রোহিত ঠিক করেছিলেন ছয় বলে ছটি ছয় মারার চেষ্টা করবেন তিনি। কিন্তু সেটা হয়নি। চতুর্থ বলটা ফস্কে যায়। রোহিত চাহালকে বলেন, ছয় মারতে শুধু পেশী শক্তি লাগে না, চাই শক্তি ও টাইমিংয়ের কম্বিনেশন। বৃহস্পতিবার কেরিয়ারের ১০০ তম টি-২০ ম্যাচ খেলার কৃতিত্ব অর্জন করেন রোহিত। তিনিই প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই কৃতিত্ব গড়েছেন। আর এমন ম্যাচে শতরানটাও পাকা ছিল। কিন্তু ছয় মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান ৮৫ রানে। শতরান না পাওয়ার একটু আক্ষেপ থাকতে পারে। তবে দল জেতায় সেই ক্ষতে প্রলেপ পরে গেছে। রোহিতের ফোকাস এখন নাগপুরের দিকে। সিরিজ ১-১। কোনও ভাবেই সিরিজ হাতছাড়া করতে রাজি নন ভারত অধিনায়ক।
আরও পড়ুন - প্রথম তিন দিনের অনলাইন টিকিট শেষ, দিন রাতের টেস্ট নিয়ে কলকাতার উন্মাদনা তুঙ্গে