সংক্ষিপ্ত

  • করোনার জেরে স্পনসর সমস্যায় ভুগছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড
  • ইংল্যান্ড সিরিজ শুরু আগে কোনও স্পনসর নেই পাকিস্তান দলের
  • তাই শাহিদ আফ্রিদির ফাইন্ডেশনের লোগো ব্যবহার করবে পিসিবি
  • পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে খুশি শাহিদ আফ্রিদিও
     

করোনা ভাইরাসের জেরে দীর্ঘ দিন লকডাউনের ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বেশ কয়েকটি ক্রিকেট খেলীয় দেশ। তাদের মধ্যে অন্যতম  পাকিস্তান। তালিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মত একাধিক দেশ। বিশেষ করে পিসিবির আর্থিক পরিস্থিতি যে ভাল নেই সেই খবর সামনে এসেছে বারবার। ফলে এই পরিস্থিতিতে স্পনসরহীন হয়ে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সামনেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লকডাউন পরবর্তী সময়ে প্রথমবার মাঠে নামবে পাকিস্তান। কিন্তু এখনও স্পনসর জোগাড় করতে পারেনি পিসিবি । তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা জার্সিতে ব্যবহার করবে প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোগো।

আরও পড়ুনঃখেতাব নির্ধারণের দুই সপ্তাহ পরেও ইপিএল কে নিয়ে উৎসাহে ভাঁটা পড়েনি

এর আগে সফ্ট ড্রিঙ্ক সংস্থা পেপসির সঙ্গে চুক্তি ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। কিন্তু সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর নবীকরণ হয়নি। ফলে ইংল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগে হন্যে হয়ে স্পনসর খুঁজছিল পিসিবি কর্তারা। এই অবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এলেন শাহিদ আফ্রিদি। ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তানের জার্সিতে শাহিদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন-এর লোগো থাকবে। পিসিবির চ্যারিটি পার্টনার হওয়ায় আফ্রিদি এই সুযোগ পাচ্ছেন।  কিন্তু এর জন্য পাকিস্তান বোর্ড একটা টাকাও পাবে না। বরং লাভ হবে আফ্রিদির সংস্থার। পাকিস্তান দলের জার্সিতে নিজেদের লোগো দেখিয়ে বিশ্বজুড়ে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে চাঁদা তুলতে পারবে সংস্থাটি।

আরও পড়ুনঃক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ঘোষণায় আরও জোরদার হল আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনা

আরও পড়ুনঃনিউজিল্যান্ডের মাটিতে আইপিএলের আয়োজন নিয়ে কী জানাল কিউই বোর্ড

এই বিষয়ে শাহিদ আফ্রিদি জানিয়েছেন,'ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের জার্সিতে আমাদের শাহিদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশনের লোগো থাকবে। এই খবরে আমরা খুবই আনন্দ পেয়েছি।' আর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এমন সুযোগ দেওয়ায় ধন্যবাদও জানিয়েছেন আফ্রিদি। পিসিবির আয়ের অন্যতম উৎস পাকিস্তান সুরাল লিগ। কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারীর কারমে তা মাঝ পথে স্থগিত হয়ে গিয়েছে। পাক বোর্ডের তত্বাবধানে এবছর যে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল সেটাও বাতিল হয়ে গিয়েছে।  এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের বেতন, কর্মীদের বেতন, পরিকাঠামো খাতে খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামবে দল আর তাতে কোনও লোগো থাকবে না, তা বড়ই অপমানের। তাই আফ্রিদির সংস্থাকে তার লোগো ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।