সংক্ষিপ্ত

আইপিএল ২০২২ -এর প্লে অফের (IPL 2022 Playoffs) দ্বিতীয় এলিমিনেটরে মুখোমুখি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও রাজস্থান রয়্যালস (RCB vs RR)। ম্য়াচ জিতে ফাইনালে উঠতে মরিয়া ফাফ ডুপ্লেসি ও সঞ্জু স্যামসনের দল। ম্য়াচের আগে কোন গান শুনছেন রাজস্থান রয়্যালস। দেখুন ভিডিও।
 

আজ আইপিএল ২০২২-এ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মহারণ। প্লে অফের দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও রাজস্থান রয়্যালস। প্লে অফের প্রথম ম্যাচে গুজরাটের কাছে হারতে হয়েছে সঞ্জু স্যামসনের দলকে। ফলে আজকের ম্য়াচ রাজস্থানের কাছে ডু অর ডাই। ২০০৮ সালের পর আর আইপিএল ফাইনালে ওঠেনি রাজস্থান রয়্যালস। এবাপ এত কাছে এসে সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ জস বাটলার, সঞ্জু স্যামসন, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহলরা। ম্য়াচের আগে অনুশীলনেও বাড়তি সময় কাটিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস দল। গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে অনুষশীলনে সেই সকল ভুল ত্রুটি শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করছে রাজস্থান। একইসঙ্গে নিডেদের উজ্জীবিত করার জন্য শুনছে একটি গানও।

খেলার সঙ্গ গানের সম্পর্ক নতুন নয়। বলিউডে খেলা নিয়ে সিনেমারও কোনও কমতি নেই। সেই সকল সিনেমার অনুপ্রেরণামূলক গানগুলি শুনে থাকেন ক্রিকেটাররা। আইপিএল প্লে অফে মরণ-বাঁচন ম্য়াচে নামার আগে সেটাই দেখা গেল রাজস্থান রয়্যালস দলের মধ্যে। দলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে গিয়েছে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন থেকে শুরু করে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চহাল, শিমরন হেটমেয়ার, যশস্বী জায়সবালরা অনুশীলনে ব্যস্ত রয়েছে। আর সেই ভিডিওর সঙ্গে গান বাজছে হিন্দি ছবি ‘ইকবাল’-এর ‘আশায়েঁ’। ক্রিকেটের উপরেই ২০০৫ সালে সেই ছবি হয়েছিল। শ্রেয়স তলপড়ে, নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনীত ছবি থেকেই অনুপ্রেরণা নিতে দেখা যায় রাজস্থানের ক্রিকেটারদের। এই গান শুনে ডু অর ডাই ম্য়াচে কিছু করে দেখানোর জন্য মরিয়া রাজস্থান রয়্যালস ক্রিকেটাররা। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে। সকলেই খুব পছন্দ করেছে।

 

View post on Instagram
 

 

প্রসঙ্গত, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচ হতে চলেছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র  মোদী স্টেডিয়ামে। সঞ্জু স্যামসন ও ফাফ ডুপ্লেসির দুই দলেই একাধিক ম্যাচ উইনার রয়েছে। যারা নিজের দৌলতে একাই ম্য়াচের ভাগ্য নির্ধারন করতে সক্ষম।  খাতায় কলমে দুই দলে ব্য়াটিং-বোলিং বিভাগের শক্তি-ভারসাম্য ও গভীরতা বিচার করলেও খুব একটা তফাৎ নেই। দুই দলের সাম্প্রতিক ফর্ম বিচার করলে পার্থক্য করা মুশিকল। আহমেদাবাদে প্লে অফের এলিমিনেটরের দ্বিতীয় মহারণে যেই দল টস জিতবে তাদরকেই একটু এগিয়ে রাখছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।