সংক্ষিপ্ত
ব্যাট হাতে একের পর এক দুরন্ত শট খেলে ভাইরাল (Viral) হয়েছিলেন বেহালার (Behala) ছোট্ট শেখ শাহিদ (SK Shahid)। এবার সেই ওয়ান্ডার কিডকে ট্রেনিং করালেন খোদ মাস্টার ব্লাস্টার (Master Blaster) সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)।
ডায়পার কিড শেখ শাহিদের (SK Shahid) কথা মনে আছে। বছর আড়াই আগে যেই এক রত্তি শিশুর ডায়পার পড়ে সাবলীল ব্য়াটিং ঝ়ড় তুলেছিল নেট দুনিয়ায়। মাত্র আড়াই বছর বয়সে অনায়াস ভঙ্গিতে খেলে চলেছিলেন স্ট্রেট ড্রাইভ, কভার ড্রাইভ, স্কোয়ার কটা, পুল-হুক ক্রিকেটীয় সব শট। যার ব্য়াটিং স্টাইল দেখে অনেকে বিরাট কোহলির (Virat Kohli)সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন। যা দেখে শুধু নেটিজেনরাই নয়, মন্ত্রমুগ্ধ হয়েছিলেন বিশ্বের তাবড়া তাবড় ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব। সেই তালিকায় ছিল স্টিভ ওয়া (Steve Waugh), কেভিন পিটারসেন (Kevin Peteresen), বিরাট কোহলি (Virat Kohli),সচিন তেন্ডুলকররা (Sachin Tendulkar) ওয়ান্ডার কিডকে দেখতে বেহালার মুচিপাড়ার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী স্টিভ ওয়া। শেখ শাহিদের ব্যাটিং দেখে বিস্মিত হয়েছিল গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।
মাঝে কেটে গিয়েছে আড়াই বছর। ডায়পার কিড এখন বছর পাচেকের হয়েছে। ক্রিকেটের প্রতি নেশা এতটুকু এখনও কমেনি। তার ব্য়াটিং দেখে বিরাট কোহলির মত মনে হলেও সতিন তেন্ডুলকরের বড় ভক্ত শেখ শাহিদ। নেটে এখনও দিন-রাত করে চলেন ব্য়াটিং। শাহিদের বাবা শেখ শামশেরেরও স্বপ্ন ছিল একবার ক্রিকেট ঈশ্বর সচিন তেন্ডুলকর যেন একবার তার ছেলের ব্য়াটিং সামনে থেকে দেখেন, শেখ শাহিদকে যেন ব্য়াটিং শেখান মাস্টার ব্লাস্টার। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হল শেখ শাহিদ ও তার বাবা। নবি মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে তেন্ডুলকর মিডলসেক্স গ্লোবাল অ্যাকাডেমির নেটে শাহিদকে অনুশীলন করান সচিন তেন্ডুলকর। ছোট্ট শাহহিদকে দেন ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস।
নেট মাধ্যমে শেখ সাহিজের ব্য়াটিংয়ের ভিডিও আগেই দেখেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। তারপর অস্ট্রেলিয়ার একটি চ্যানেল সচিনকে ট্যাগ করে শেখ শাহিদের ব্য়াটিংয়ের ভিডিও শেয়ার করেছিল। তারপরই সচিনের সংস্থার ম্য়ানেজার শেখ শাহিদের বাবাকে ফোন করেন। জানান সেই ভিডিও দেখেছেন খোদ সচিন তেন্ডুলকর। শাহিদকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বইতে আসতে বলেন। সেখানে শাহিদকে সচিন স্যার অনুশীলন করাবেন বলেও জানান মাস্টার ব্লাস্টারের ম্যানেজার। যা শোনার পর অবাক হয়েছিলেন শেখ শাহিদের বাব। কিন্তু উদ্বেগও তৈরি হয়েছিল। কারণ সামান্য সেলুনের কর্মচারী মুম্বই যাতায়াত, থাকা-খাওয়ার খরচ জোগাড় করাটা শেখ শামশেরের পক্ষে সম্ভব ছিল না। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না।
সচিনের সংস্থাকে এই বিষয়ে জানানোর পর এই সমস্যারও সমাধান করে দেন খোদ ক্রিকেট ঈশ্বর। নিজের উদ্যোগে শেখ শাহিদের পরিবারের জন্য প্লেনের টিকিট ও মুম্বইতে হোটেলের ব্যবস্থাও করে দেন সচিন তেন্ডুলকর। অনুশীলনে ছোট্ট শহিদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। নেটে শেখ শাহিদের ব্য়াটিং দীর্ঘ সময় পর্যবেক্ষণ করেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শত সেঞ্চুরির মালিক। শাহিদের সঙ্গে কতা বলার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ব্যাটিং নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপসও দেন সচিন তেন্ডুলকর। শাহিদের পরিবারকেও মাস্টার ব্লাস্টার বলেছেন, ওর ওপর কোনও চাপ দিতে না, মন খুলে ক্রিকেট খেলতে দিতে ও উপভোগ করতে দিতে বলেছেন সতিন তেন্ডুলকর। স্বপ্নপূরণ হওয়ায় খুসি ছোট্ট শেখ শাহিদ ও তার পরিবারও।