সংক্ষিপ্ত
- দেশের হয়ে বরাবর আবেগ দিয়ে ক্রিকেট খেলেছেন
- বল হাতে আগুনও ঝড়িয়েছেন তার ক্রিকেট কেরিয়ারে
- তবে শুধু বল হাতে নয় বন্দুক হাতেও দেশ সেবা করতে চেয়েছিলেন
- সেই কথাই এক সাক্ষাৎকারে জানালেন শোয়েব আখতার
তিনি যে বরাবরই আগ্রাসী, আবেগ দিয়ে ভাবেন সেই প্রমাণ ২২ গজে বারবার দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেস বোলার শোয়েব আখতার। বল হাতে তিনি বরাবরই বিপক্ষের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছেড়েছেন। তার পেস বোলিংকে বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানও সমঝে খেলতেন তানিয়ে কারও সন্দেহ নেই। মাঠে প্রতিপক্ষের সঙ্গে ব্যাটে-বলের লড়াই ছাড়াও ঝামেলায় জড়িয়েছেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। বিশেষ করে ভারতের বিরুদ্ধে খেলা হলে তার মধ্যে কিছু করে দেখানোর আবেগটাই থাকত অন্যরকম। কখনও তাতে সফল হয়েছেন, কখনও হননি। কিন্তু এবার জানলে অবাক হয়ে যাবেন এই শোয়েব আখতার কার্গিল যুদ্ধে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃসমর্থকদের কটূক্তি করে বিতর্কে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সচিব
দেশের প্রতি তার ভালবাসার কথা বারবার বলেছেন শোয়েব। সেই দেশভক্তির কারণেই রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস চেয়েছিলেন কার্গিলে যুদ্ধে অংশ নিতে। পাকসংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শোয়েব আখতার জানান,'১৯৯৯-এর মে থেকে জুলাই পর্যন্ত চলা কার্গিল যুদ্ধে দেশের হয়ে প্রাণ দিতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। সেই সময় আমার কাছে নটিংহ্যামের ১ লক্ষ ৭৫ হাজার পাউন্ডের প্রস্তাব ছিল। পরে ২০০২ সালেও আরও একটা বড় প্রস্তাব পাই। যখন কার্গিল যুদ্ধ চলছিল, আমি দু'টি প্রস্তাবই প্রত্যাখ্যান করি। কারণ আমার কাছে সেই সময় দেশের পাশে থাকাটাই বেশি প্রয়োজনীয় মনে হয়েছিল।'
আরও পড়ুনঃএবার বীরেন্দ্র সেওয়াগকে মারার হুমকিও দিলেন শোয়েব আখতার
আরও পড়ুনঃ'তখন ডিআরএস থাকলে অনেক আগেই পাকিস্তানের ১০ উইকেট নিয়ে নিতাম'
সেই সময় নিজের অভিজ্ঞতার কথা আরও জানিয়েছেন শোয়েব আখতার। তিনি বলেন,'আমি লাহোরের উপকণ্ঠে দাঁড়িয়ে ছিলাম। একজন জেনারেল আমাকে জিজ্ঞাসা করে, অমি এখানে কী করছি। আমি বলি, যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে এবং আমরা একসঙ্গে মরব। আমি দু'বার একারণেই কাউন্টি প্রস্তাব ফিরিয়েছি এবং তাতে ওরা অবাক হয়েছিল। যদিও আমার তাতে বিশেষ মাথাব্যথা ছিল না। আমি কাশ্মীরে আমার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং বলি, আমি লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত।' যদিও সেই সময় দেশের তারকা ক্রিকেটারের ইচ্ছে বা স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কার্গিল যুদ্ধেও জয়লাভ করে ভারত। যা ভারতের সামরিক শক্তির ইতিহাসে এক গৌরব গাঁথা হয়ে রয়ে যাবে অনন্তকাল ধরে।