সংক্ষিপ্ত

  • ক্যারেবিয়ান সফরে দুরন্ত পারফরম্যান্স দীপক চাহারের
  • এবার ভারতীয় পেসারের লক্ষ্য ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ
  • অধিনায়ক বিরাটের ভরসা হয়ে উঠতে চান দীপক
  • আগামী টি২০ বিশ্বকাপে পাখীর চোখ তরুণ পেসারের

এমন ভাগ্য খুব বেশি বোলার হয় না। আইপিএল ধোনির নেতৃত্বে খেলে জাতীয় দলে বিরাটের নেতৃত্বে খেলা। তবে সেই ভাগ্যটা সঙ্গে আছে ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন পেসার দীপক চাহারের।  আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসে থাকার সুবাদে ধোনির পরিকল্পনায় নিজেকে মলে ধরেছিলেন দীপক। আর তার পুরস্কার হিসেবে বিরাটের ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। আর সেই সুযোগটা হেলায় হারাতে দেননি । ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি২০ ম্যাচে তিন ওভার হাত ঘুড়িয়ে চার রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। দেশের জার্সিতে কেরিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন, সঙ্গে অধিনায়ক বিরাটের প্রশংসাও । এমটাই যেন চাইছিলেন দীপক চাহার। অধিনয়কের আস্থা অর্জন করাটাই এখন তাঁর মূল লক্ষ্য। একটা বা দুটো ভাল পারফরম্যান্স করে হারিয়ে যেতে চান না এই বোলার। দীপক বলছেন ‘অধিনায়ক আমার প্রতি আস্থা অর্জন করাটাই আমার মূল লক্ষ্য, যেটা একদিনে হয় না। আমি যদি দলকে আরও ম্যাচ জেতাতে পারি তাহলে বিরাট আমার প্রতি আস্থা দেখাতে পারবে, আমিও সুযোগ পাব বেশি ম্যাচ খেলার।’

সফল ক্যারেবিয়ান সফর শেষে এবার দীপকের লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও ভাল পারফর্ম করার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দীপকে নতুন বল হাতে সামলাতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার টি২০ অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক’কে।  আইপিএলের মঞ্চে কুইন্টির বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞাতা রয়েছে দীপকের। বলছেন, ‘আইপিএল সাত থেকে আটটি ম্যাচে আমি কুইন্টনের বিরুদ্ধে খেলেছি। এখন ও দক্ষিণ আফ্রিকার টি২০ অধিনায়ক। অনেক দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে । আইপিএলে ওঁকে বিরুদ্ধে বোলিং করার অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়েই মাঠে নামব। চেষ্টা করব কুইন্টনকে সেই সব জায়গায় বোলিং করতে যে জায়গা গুলোতে ও কম শক্তিশালী। ’

আপাতত চাহারের ফোকাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। কিন্তু এখানেই থেমে থাকা নয়। অস্ট্রেলিয়ায় আগামী টি২০ বিশ্বকাপকে মাথায় রাখছেন দীপক চাহার। ‘সব ক্রিকেটারের ইচ্ছে থাকে দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলার। আমারও সেই ইচ্ছে আছে। তবে প্রাথমিক ভাবে দলে নিজের জায়গাটা পাকা করতে চাই। শুধু বিশ্বকাপের কথা ভেবে খেললে নিজের ওপর চাপ তৈরি হবে, তাই সামনে যে সুযোগ পাব ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করব। ’ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই কথা গুলো বলছিলেন ভারতীয় পেসার। বর্তমানে ভারতীয় দলের পেস বোলিং বিভাগ শক্তিশালী। সামি-বুমরা-ভুবিদের টপকে দলে পাকা জায়গা করে নিতে হলে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে তরুণ এই বোলারকে।