সংক্ষিপ্ত

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১-এর (T20 World Cup 2021) সুপার ১২ পর্বের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে (England) ১০ রানে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা  (South Africa)। তারপরও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল তারা। 

প্রথম ৩ ওভারে বেধড়ক মার খেয়েছিলেন। কিন্তু নিজের এবং ম্য়াচের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করলেন কাগিসো রাবাডা। যার জেরে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৯০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানেই থামল ইংল্যান্ডের ইনিংস। তবে শুধু রাবাডা নন, প্রোটিয়াদের সব বোলাররাই সামগ্রিকভাবে ভাল পারফর্ম করলেন। তার আগে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলেন ভ্যান ডার ডুসেন এবং এইডেন মার্করাম। 

ফলে, অপরাজিতর তকমা নিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়া হল না ইংল্য়ান্ডের। আর এই ম্যাচ জিতেও নেট রান রেটে অস্ট্রেলিয়ার থেকে পিছিয়ে থেকে ছিটকে গেল প্রোটিয়ারা। তবে তারা দেশে ফিরছে মাথা উঁচু করেই। প্রতিবারই আইসিসি টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে কোনও না কোনও নাটক হয়ে থাকে। চাপের মুখে ভেঙে পড়ার ইতিহাস রয়েছে তাদের। টেম্বা বাভুমার দল কিন্তু, তাদের থেকে অনেকটাই আলাদা। 

স্কোরবোর্ডে ১৯০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেখালেও, নেট রান রেটে অস্ট্রেলিয়াকে পিছনে ফেলে সেমিফাইনালে যেতে গেলে, ইংল্যান্ডকে থামাতে হল ১৩১ রানের মধ্যে। কিন্তু, ইনিংসের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল মর্গান বাহিনী। জেসন রয় এবং জয় বাটলার প্রথম ওভারের পর থেকেই হাত খুলতে শুরু করেছিলেন। নখিয়া, কেশব মহারাজ এবং রাবাডার পরের তিন ওবার থেকে আসে যথাক্রমে ১০, ১০ এবং ১৫ রান। 

কিন্তু, এরপরই জোর ধাক্কা খেয়েছিল ইংল্যান্ড। ১৫ বলে ২০ রানে ব্যাট করতে থাকা ওপেনার জেসন রয় বাম হ্যামস্ট্রিং-এ চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। ষষ্ঠ ওভারে ভয়ঙ্কর বাটলারকে (১৫ বলে ২৬) ফিরিয়ে দিয়ে ইংল্যান্ডের দুর্ভোগ বাড়িয়েছিলেন। পাওয়ার প্লে-র শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৫৮/১। জেসন রয়ের জন্য, কার্যত দুই উইকেটই পড়ে গিয়েছিল। পাওয়ার প্লের ঠিক পরের ওভারে আক্রমণে এসেই ইংল্যান্ডকে আরও সমস্যায় ফেলে দেন তাবরাইজ শামসি। এলবিডব্লিউ-এর সিদ্ধান্ত রিভিউ করেও পার পাননি বেয়ারস্টো (১)। 

এরপর অবশ্য তিন নম্বরে নামা মইন আলি (২৭ বলে ৩৭) এবং পাঁচ নম্বরে নামা ডেভিড মালান (২৬ বলে ৩৩) খেলা ইংল্য়ান্ডের দিকে ফিরিয়ে ছিলেন। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে তারা ৫০ রান যোগ করেন। কিন্তু, রানের গতি বাড়াতে শামসিকে মারতে গিয়ে বাউন্জারি লাইনে ডেভিড মিলারের হাতে ধরা পড়েন মইন। তবে ততক্ষণে ১১০ রান উঠে গিয়েছিল বোর্ডে। ১৬তম ওভারে রাবাডার বলে ছয় মেরে দক্ষিণ আফ্রিকার পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা ভেঙে দেন লিভিংস্টোন (১৭ বলে ২৮)। তাঁর পরপর তিনটি ছক্কায় ১৩১ রান পেরিয়ে যায় ইংল্যান্ড। মেরেছেন এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে জিতে মাথা উঁচু করে টুর্নামেন্ট শেষ করা ছাড়া আর কোনও লক্ষ্য বাকি ছিল না। 

শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৬ বলে ১৪ রান। তার আগে ৩ ওভারে ৪৫ রান দেওয়া কাগিসো রাবাডার হাতেই বল তুলে দিয়েছিলেন বাভুমা। ক্রিজে ছিলেন ইয়ন মর্গান (১২ বলে ১৭) এবং ক্রিস ওকস (৩ বলে ৭)। প্রথম বলে ওকসকে ফেরালেন রাবাডা। ছয় মারতে গিয়ে বাউন্জারি লাইনে নখিয়ার হাতে ধরা পড়েন। পরের বলে মর্গান আউট হন মহারাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে। আর তৃতীয় বলে ক্রিস জর্ডনের ক্যাচ ধরেন মিলার। জয় দিয়ে যেমন শেষ করল দক্ষিণ আফ্রিকা, তেমনই হ্যাটট্রিক করে হাসিমুখে এবারের মতো টি২০ বিশ্বকাপ শেষ করলেন রাবাডা।