সংক্ষিপ্ত
- তামিমের ব্যাটিংয়ের দৌলতে জিম্বাবোয়েকে ৩২২ রান লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
- ১৫৮ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলে ফর্মে ফিরলেন তামিম
- বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শতরান করলেন তিনি
- এর আগের শতরানটি তিনি করেছিলেন ২০১৮ এর জুলাইতে
অনেক দিন পরে সাবলীল ছন্দে ব্যাটিং করতে দেখা গেল তামিম ইকবালকে। তার ব্যাট থেকে দেখা গেছে স্ট্রোকের ফুলঝুরি। খেলেছেন সব নান্দনিক শট। একই সঙ্গে ইতিহাস গড়লেন তামিম। ছুঁয়ে ফেললেন বহুল প্রত্যাশিত ও কাঙ্ক্ষিত মাইলফলক।
ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে ৭০০০ রানের অভিজাত ক্লাবে পৌঁছলেন তিনি। ২০৬টি ম্যাচে এই কীর্তি গড়লেন দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের হয়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে যাওয়া ওপেনার। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ৩, ৫ ও ৬ হাজার রানের মাইলস্টোনও স্পর্শ করেন তিনি।
সম সংখ্যক ম্যাচ খেলে ৬৩২৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন বিশ্বর সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। পরের স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশে মিস্টার ডিপেন্ডেবল নামে পরিচিত মুশফিকুর রহিম। তার সংগ্রহ ৬১৭৪ রান।
শেষপর্যন্ত তামিমের ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। ৮ উইকেট খুইয়ে তাদের সংগ্রহ ৩২২। শতরান করেই ক্ষান্ত হননি তামিম। শেষপর্যন্ত ১৫৮ রান করেন তিনি।
মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রথম ম্যাচেও টস জিতেছিলেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে দাপুটে জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে টাইগাররা। দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিততে চান তারা।
জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে দেশের হয়ে ওয়ান-ডে তে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড গড়েন তামিম। টপকে যান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। নিষেধাজ্ঞার কারণে আপাতত খেলার বাইরে তিনি। সাকিব জিম্বাবুইয়ানদের বিপক্ষে ৪২ ইনিংসে করেন ১৪০৪। ৪০ ইনিংসে তাকে ছাড়ান তামিম। তিনি ১৩৯৮ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন।
তামিমের কীর্তির পরই দুর্ভাগ্যক্রমে রানআউট হয়ে ফেরেন লিটন। তামিমের ওপেনারের ড্রাইভ কার্ল মুম্বার হাতে লেগে আঘাত করে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্টাম্পে। বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকা লিটন দাস চেষ্টা করেও সময়মতো ক্রিজে ফিরতে পারেননি। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এদিন দুই অংকের ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি। সেই রেশ না কাটতেই তামিমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে রানআউটে হন নাজমুল হোসেন।
এই ঘটনা অবশ্য অভিজ্ঞ ওপেনারের ছন্দে ব্যাঘাত ঘটায়নি। স্বচ্ছন্দে খেলে যান তামিম। এবং অবশেষে বিশাল রানের চূড়ায় দাঁড় করিয়ে দেন তিনি।