সংক্ষিপ্ত
- এবার এক পড়ুয়ার ছবি শেয়ার করলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ
- রাজস্থানের পাঁচপাদরা গ্রামের বাসিন্দা বছর বারোর হরিশ
- করোনার কারমে স্কুল বন্ধ থাকায় তার অনলাই ক্লাস চলছে
- নেটওয়ার্ক না থাকায় রোজ ক্লাসের জন্য পাহাড় চড়ছেন হরিশ
গোটা দেশকে ক্রমশই নিজের গ্রাসে নিয়ে নিচ্ছে মারণ করোনা ভাইরাস। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় সরকারের আনলকে কিছু অফিস, কারখান, কিছু জরুরি পরিষেবা খুললেও, শুরু হয়নি পঠন-পাঠন। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে খোলা হ.নি স্কুল, কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয় কোনও কিছুই। ফলে অনলাইন ক্লাসই এখন ভরসা পড়ুয়াদের। তবে ফোনে নেটওয়ার্ক থাকা প্রয়োজন। থাকা দরকার ইন্টারনেট পরিষেবাও। দেশের এমন কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানে নেটওয়ার্ক রয়েছে নামমাত্রই। সেই সমস্ত জায়গায় পড়ুয়াদের অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু এমনই এক পড়ুয়ার কথা তুলে ধরলেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগ, যার কাছে এই সমস্ত সমস্যা নগন্য। জীবন যুদ্ধে জয়ের জন্য প্রতিদিন অনলাইন ক্লাস করতে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠেন ওই ছাত্র। লক্ষ্য ফোনের নেটওয়ার্ক ও অনলাইন ক্লাস।
আরও পড়ুনঃআমের প্রতি কতটা দুর্বল ধোনি, জানালেন মাহির সিএসকে সতীর্থ
রাজস্থানের বারমারের পাঁচপাদরা গ্রামের বাসিন্দা বছর বারোর হরিশ। স্কুল ও প্রাইভেট টিউশন বন্ধ থাকায় অনলাইনে ক্লাস চলছে তার। গোটা গ্রামে ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। তা একমাত্র পাওয়া যায় উঁচু পাহাড়টায় উঠলে। আর তাই লকডাউনের মাঝেই অনলাইন ক্লাস করতে প্রত্যেকদিন সকাল আটটায় পাহাড়ে ওঠা এবং বেলা দু’টোয় নিচে নেমে আসাটাই এখন রোজনামচা হরিশের। শুধু নিজে নয়, চেয়ার টেবিল নিয়ে রোজ পাহাড় চড়েন হরিশ। কারণ তাঁর মতে, ক্লাস করতে না পারলেই পিছিয়ে পড়বে সে। গত ৩৪ দিন ধরে এভাবেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে আইএএস হওয়ার স্বপ্ন দেখা জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের ছাত্র হরিশ।
আরও পড়ুনঃপ্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী জাভি হার্নান্দেজ
আরও পড়ুনঃদক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে করোনার থাবা,আক্রান্ত ২ প্লেয়ার সহ ৩ জন
এই হরিশের ছবিই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ। সঙ্গে হরিশ সম্পর্কে দেন যাবতীয় তথ্য। সেওয়াগের শেয়ার করা এই ছবি মুহূর্তের ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। হরিশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে সেওয়াগ লেখেন,'হরিশ নামে রাজস্থানের বারমারের এক ছাত্র অনলাইন ক্লাসের জন্য নেটওয়ার্ক পেতে একটি পাহাড়ে ওঠে। সকাল আটটা থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত ক্লাস করে বাড়ি ফেরে। হরিশের এই লড়াই যথেষ্ট প্রশংসনীয়, প্রয়োজনে তাকে সাহায্য করতে চাই।' নেটিজেনরাও কুর্ণিশ জানিয়েছেন হরিশে এই লড়াইকে। হরিশের ভবিষ্যতের জন্য জানিয়েছেন শুভকামনা। আর হরিশ প্রমাণ করলেন আরও একবার যে শুধু ইচ্ছে ও জেদটাই যথেষ্ট, তাহলেই সমাধান করা যায় সব সমস্যার।