সংক্ষিপ্ত

রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) অভিষেক ম্য়াচে (Debut Match) সেঞ্চুরি (Century) করলেন যশ ধুল (Yash Dhull)। দিল্লি হয়ে ওপেন করতে নামেন অনূর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক (U19 World Cup)। একইসঙ্গে ভাগ বসালে সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar), রোহিত শর্মাদের (Rohit Sharma)রেকর্ডে।

অধিনায়ক হিসেবে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ (U19 World Cup) জিতে  বিরাট কোহলি (Virat Kohli), মহম্মদ কাইফ (Mohammad Kaif), পৃথ্বি শ-দের (Prithvi Shaw) সঙ্গে একই আসনে বিরাজমান হয়েছিলেন যশ ধুল (Yash Dhull)। অধিনায়ক হিসেবে ক্ষুরধার মস্তিষ্কের পরিচয় দেওয়ার পাশাপাশি ব্য়াট হাতেও নিজের জাত চিনিয়েছিলেন তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটার। ছোটদের বিশ্বকাপে করেছেন সেঞ্চুরিও। তবে সেটা যে সবে শুরু ছিল তা বুঝিুয়ে দিলেন যশ ধুল। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্সের সৌজন্যে রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) দিল্লির সিনিয়র দলেও সুযোগ পান তিনি। আর অভিষেকেই সেঞ্চুরি করে দুরন্ত সেঞ্চুরি করলেন যশ ধুল। এর আগে রঞ্জি অভিষেক সেঞ্চুরি (Century) করার নজির ছিল দুই কিংবদন্তী সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) ও রোহিত শর্মা ও অমল মজুমদার, পৃথ্বী শ'দের।  আর এবার যশ ধুল ভাগ বসালেন সচিন তেন্ডুলর ও রোহিত শর্মাদের (Rohit Sharma) রেকর্ডে। 

রঞ্জি ট্রফির এলিট গ্রুপের খেলায় টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন তামিলনাড়ুর অধিনায়ক বিজয় শংকর। অভিষেক ম্য়াচেই দিল্লির হয়ে ওপেন করতে নামেন যশ ধুল। একদিক থেকে ধ্রুব শোরে, হিম্মত সিং, নীতিশ রানারা দ্রুত প্যাভেলিয়নে ফিরে গেলেও অপরদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান যশ ধুল। তার আত্মবিশ্বাসী ব্য়াটিং দেখের বোঝার কোনও উপায় ছিল না  এটি রঞ্জি ট্রফিতে তার অভিষেক ইনিংস। সাবলী ভঙ্গিতে বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো শট খেলেন তিনি। দলের ১৬.৪ ওভারে এম মহম্মদের বলে বাউন্ডারি মেরে নিজর অর্ধশতরান পূরণ করেন যশ ধুল। মাত্র ৫৭ বলে ৫০ রানের গণ্ডী টপকে যান তরুণ ডান হাতি ব্য়াটসম্যান। তার ব্য়াটে ভর করেই এগোতে থাকে দিল্লির স্কোরবোর্ড। 

 

 

মধ্যাহ্ন বিরতির পরও নিজের ইনিংস চালিয়ে যান যশ ধুল। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন জন্টি সিধু। দুজন মিলে ১১৯ রানের পার্টনারশিপ করেন। নিজের স্বভাবজাত আক্রমণাত্মক ব্য়াটিং চালিয়ে যান  যশ ধুল। ইনিংসের ৪৪.৪ ওভারে বাবা অপরাজিতের বলে ২ রান নিয়ে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছে যান যশ। ১৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩৩ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। সেঞ্চুরি করার পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি যশ ধুলের ইনিংস। ৫০ বলে ১১৩ রান করে আউট হন তরুণ ডান হাতি ব্য়াটসম্য়ান। ১৮টি  বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো তার ইনিংস। এম মহম্মদের বলে আউট হন তিনি। দিনের শেষে দিল্লির স্কোর ২৯১ রানে ৭ উইকেট। প্রথম দিনের শেষে সর্বোচ্চ স্কোর যশ ধুলের। একইসঙ্গে এলিট লিস্টেও নাম খোদাই  করে নিলেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক।